AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘উনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে ভোট নিয়ে এত তাড়া’, উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মমতাকে তোপ দিলীপের

Dilip Ghosh: রাজ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ভবানীপুর কেন্দ্র।

'উনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে ভোট নিয়ে এত তাড়া', উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মমতাকে তোপ দিলীপের
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 9:44 AM
Share

কলকাতা: ফের উপনির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, লোকাল ট্রেন চালাতে পারছেন না, অথচ ভোট করাতে চাইছেন। দিলীপের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতেই তড়িঘড়ি উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে চাইছেন। যদিও তৃণমূলের তরফে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে, মূল নির্বাচন পর্ব যে সময় হয়েছিল, তখন সংক্রমণের হার শীর্ষে ছিল। সে তুলনায় এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই ভোট করাতে কোনও বাধা থাকার কথা নয়।

শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “উপনির্বাচন হওয়া উচিত। আমার মনে হয় যথা সময়েই তা হবে। বাংলায় কার্যত লকডাউন চলছে। দু’ বছর ধরে পুরসভার ভোট আটকে রয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী খালি উপনির্বাচন নিয়ে বলছেন। ওনার যদি মনে হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তা হলে বিধি নিষেধ তুলে দিন। আসলে উনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলেই উপনির্বাচন নিয়ে এতটা সরব।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ভবানীপুর কেন্দ্র। কারণ, এখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ। নন্দীগ্রামে হারের পর ছ’ মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন করতে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দাবি করেন তিনি।

এর আগে এই একই বিষয়ে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনিও বলেছিলেন, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ও টিকাকরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই। শুভেন্দু প্রশ্ন তুলেছিলেন, “লোকাল ট্রেন যারা চালাতে পারছে না, তারা ভোট চাইছে কেন?” যদিও তৃণমূলের দাবি, অষ্টম দফার ভোট যখন চলছিল সে সময় রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৩৩ শতাংশ অবধি ছুঁয়েছিল। ভোট শুরুর সময় পজিটিভি রেট ছিল ৩ শতাংশের উপরে। এখন তা অনেক কম। তাই এই পরিস্থিতিতে ভোট করানো যেতেই পারে। আরও পড়ুন: ‘দিদিমণি দিল্লি গেলেন, কলকাতাও লন্ডনের বদলে ভেনিস হয়ে গেল’, জলযন্ত্রণা নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিলীপের