Terrorist in Kolkata: এসপ্লানেড থেকে ২ মিনিট দূরেই ৭০০ টাকা ভাড়ার হোটেল, সেখানেই ছিলেন বিস্ফোরণের ২ মাস্টারমাইন্ড!

Bengaluru Blast: লেনিন সরণির ওই হোটেল বেশ পুরনো। বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে সেখানে। সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ ওই দুই অভিযুক্ত আব্দুল মাথিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব এসেছিলেন কলকাতায়। ছিলেন ওই হোটেলে। ভুয়ো আধার কার্ড জমা করেছিলেন তাঁরা। রেজিস্ট্রারেও ছিল দুটো নাম, তবে নামগুলো আসল নয়।

Terrorist in Kolkata: এসপ্লানেড থেকে ২ মিনিট দূরেই ৭০০ টাকা ভাড়ার হোটেল, সেখানেই ছিলেন বিস্ফোরণের ২ মাস্টারমাইন্ড!
কলকাতার হোটেলে ছিলেন অভিযুক্তরাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2024 | 5:06 PM

কলকাতা: বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন কারা? সেই তদন্ত শুরু হয়েছিল আগে। অবেশেষ আজ, শুক্রবার সকালে দিঘার হোটেল থেকে দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিঘার হোটেলে কীভাবে আশ্রয় নিলেন দুই অভিযুক্ত, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দিঘা তথা রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এরই মধ্য়ে সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, কলকাতার হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন অভিযুক্তরা। একটা গোটা রাত সেখানে কাটিয়েছিলেন তাঁরা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ধর্মতলা থেকে মাত্র ২ মিনিট হাঁটাপথে এগোলেই দেখা যাবে সেই হোটেল।

লেনিন সরণির ওই হোটেল বেশ পুরনো। বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে সেখানে। সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ ওই দুই অভিযুক্ত আব্দুল মাথিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব এসেছিলেন কলকাতায়। ভুয়ো আধার কার্ড জমা করেছিলেন তাঁরা। রেজিস্ট্রারেও ছিল দুটো নাম, তবে নামগুলো আসল নয়।

খাতায় একজনের নাম আমল কুলকার্নি ও অপরজনের নাম ইউশা শাহনওয়াজ। এই নামেই দুটি ভুয়ো পরিচয়পত্র তথা আধার কার্ড জমা দেওয়া হয়েছিল হোটেলে। হোটেলের ৮ নম্বর ঘরে ছিলেন তাঁরা। হোটেলের রেকর্ড বলছে, গত ১৩ মার্চ বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ঢোকেন তাঁরা, বেরিয়ে যান পরের দিন দুপুর ১২টায়। ৭০০ টাকায় এক রাত কাটানো যায় এই হোটেলে। তাঁরা বলেছিলেন, ‘দার্জিলিং থেকে আসছি, চেন্নাই যাব।’

এই খবরটিও পড়ুন

এভাবেই বিস্ফোরণের দুই অভিযুক্ত কলকাতার হোটেলে রাত কাটিয়ে গেলেন, অথচ কেউ কিছু টেরই পেল না। সরু গলির মধ্য়ে দিয়ে ঢুকতে হয় ওই হোটেলে। মনে করা হচ্ছে, চেক ইনের ক্ষেত্রে তেমন কোনও কড়াকড়ি নেই, তাই এই হোটেলকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। হোটেলের কর্মীরা বলছেন, সন্দেহজনক কিছুই দেখতে পাননি তাঁরা। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসের ১ তারিখে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছিল। আর ১৩ তারিখ কলকাতায় আসেন অভিযুক্তরা।