Kolkata Municipal Corporation : কোষাগারে ক্ষতি রুখতে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরনিগমের
Kolkata Municipal Corporation : প্রসঙ্গত, কলকাতার পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলে এই ওয়েভার স্কিম প্রকল্প চালু হয়েছিল। সময়টা ছিল ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ।
কলকাতা: চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে পৌরসভা’ পরিষেবা। কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র পরিষদের বৈঠকে এদিনই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত। কী সেই সিদ্ধান্ত? বারবার ক্ষতির মুখে কলকাতা (Kolkata) পুরসভার কোষাগার। অবশেষে ‘বিতর্কিত’ ওয়েভার স্কিম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হল মেয়র পারিষদের বৈঠকে। সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই ওয়েভার স্কিম চালানো হবে। তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এই ওয়েভার স্কিম। সাংবাদিক বৈঠকেও এ কথা সাফ জানিয়ে দেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরনিগমের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ওয়েভার স্কিম নিয়ে লাগাতার ব্যর্থতার মুখ দেখছিল কলকাতা পুর প্রশাসন। রাজস্ব খাতে যে পরিমাণ অর্থ আদায় হওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট স্কিম থেকে, তা হচ্ছিল না। অভিযোগ, উল্টে এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে অনেক রাঘববোয়ালরা কর ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। যে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল পুরনিগম।
প্রসঙ্গত, কলকাতার পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলে এই ওয়েভার স্কিম প্রকল্প চালু হয়েছিল। সময়টা ছিল ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ। মাঝখানে করোনাকাল বাদ দিলে, প্রতি অর্থবর্ষে এই ওয়েভার স্কিম ভালমতোই টাকা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়তো। কিন্তু, গত দুটি অর্থবর্ষে সেই যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আদায় হচ্ছিল না। যে কারণে আজ মেয়র পারিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়েভার স্কিমের ওয়েভার স্কিম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বাকি থাকা সম্পত্তি কর যাতে এক লপ্তে নেওয়া হয় তার জন্য জমা থাকা সম্পত্তিকরে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ ছাড় দেওয়া হতো। একইসঙ্গে ৯৯ শতাংশ জরিমানা ছাড়েরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে এই ছাড় অনেকে নেওয়া ফলে কলকাতা পুরনিগমের কোষাগারে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। কেন ইচ্ছাকৃতভাবে কর জমিয়ে রাখা সম্পত্তিকর দাতারা এই ছাড় পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ। এমনকি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কলকাতা পুরনিগমের অনেক মেয়র পরিষদ সদস্য এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন। দিনের অবশেষে এই বিতর্কিত ওয়েভার স্কিম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা নিয়ে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।