Primary TET: ‘ইন্দ্রজিৎ’-কে আড়াল করতে ‘মেঘ’ তৈরি করছে রাজ্য, প্রাথমিক মামলায় বিস্ফোরক বিকাশ
Primary TET: ২০১৬ টেট পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য আসল দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। শুনানি চালাকালীন এমনটাই দাবি করলেন মামলাকারীদের অইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, মহাভারতে ইন্দ্রজিৎ যেমন মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করতেন, তেমনই ‘ইন্দ্রজিৎ’কে আড়াল করতে অনেক ‘মেঘ’ তৈরি করছে রাজ্য। প্রাথমিকে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। আগামী মঙ্গলবার তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।
এই মামলায় ভুল প্রশ্নর নম্বর নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রশ্ন ভুল থাকায় কয়েকজনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কেন সবাই এই ১ নম্বর পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার বোর্ডের তরফের আইনজীবী কিশোর দত্ত দাবি করেন, আদালতের নির্দেশেই ওই অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের। তিনি জানান, এই মামলায় কোনও ‘স্ক্যাম’ নেই। তিনি ব্যাখ্যা করেন, অক্সফোর্ডের অভিধানে ‘স্ক্যাম’ কথার অর্থ যাতে অসৎ উদ্দেশ্য থাকে। এ ক্ষেত্রে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই বলেই দাবি করেন আইনজীবী।
কিন্তু বোর্ডের দাবি নস্যাৎ করে বিকাশ ভট্টাচার্য দাবি করেন, আদালত নির্দেশ দেওয়ার আগেই বাড়ানো হয়েছিল নম্বর। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন ভুল থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছিল বোর্ড।
২০১৬-র প্রাইমারি টেট নিয়ে যে মামলা হয়েছে, তাতে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘মামলায় রাজ্য যেন ইন্দ্রজিতকে আড়াল করতে চায়। ইন্দ্রজিৎ যেমন মেঘের মধ্যে থেকে যুদ্ধ করতেন, তেমন রাজ্যও আরও মেঘ তৈরি করতে চাইছে। যাতে ইন্দ্রজিৎকে আড়াল করা যায়। দুর্নীতিকে আড়াল করা যায়।’ দ্বিতীয় প্যানেলের প্রকাশের বৈধতা কোথায় সেটাও স্পষ্ট নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।