Sukanta Majumdar : দলীয় শৃঙ্খলা সবার আগে, গৌরীশঙ্করদের পদ ছাড়াতেও ‘কড়া’ সুকান্ত
BJP Leader Sukanta Majumdar : একের পর এক নেতার লাগাতার পদত্যাগের জেরে যথেষ্ঠ বিড়ম্বনায় পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। এমনকী অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্ট নিয়েও বেড়েছে অস্বস্তি।
কলকাতা : বঙ্গ বিজেপিতে (West Bengal BJP) রক্ত ক্ষরণ অব্যাহত। পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন একের পর এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা। রবিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ( BJP state president Sukanta Majumder) একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে দলীয় পদ ছাড়েন গৌরীশঙ্কর ঘোষ। পদ ছাড়েন কর্মসমিতির আরও দুই সদস্যও। আরও তারপরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করতে দেখা যায় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে(BJP leader Anupam Hazra)। যা নিয়ে এদিন দিনভর জোর চর্চা চলে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। ফের নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পদ্ম নেতৃত্ব। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদারকে। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘দলীয় শৃঙ্খলা সবার আগে, তা মেনে সকলেই চলতে হবে। পদত্যাগ পত্রে যে অভিযোগ করা হয়েছে দলের বিরুদ্ধে তাঁর যদি কোনও বাস্তবিকতা না থাকে তাহলে তাঁদের বক্তব্যের সারবত্তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যাবে।’
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করছি পদত্যাগ পত্র নিয়ে কী করা যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আলাদা করে কিছু জানতে চেয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে হলে তিনি বলেন, ‘এখনও ওনারা কিছু জানতে চাননি। জানতে চাইলে জানানো হবে।’ তবে যাঁরা বর্তমানে পদত্যাগ করছেন তাঁরা কেউই বলছেন না বিজেপি থেকে অব্যাহতি চাইছেন। পদত্যাগী সিংহভাগ নেতাকেই দেখা গিয়েছে তাঁরা শুধুমাত্র দলে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া পদ ছাড়ছেন। তবে কী সভাপতি বা শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দল পরিচালনায় ব্যর্থতাকে দুষে তাঁরা দল ছাড়ছেন? এই প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের অন্দরে ঘোরাফেরা করলেও সুকান্তর দাবি, ‘বিজেপিতে এই ধরণের ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু বিজেপি একটি সাংগঠনিক দল। সেই সাংগঠনিক দলের যে রীতিনীতি রয়েছে, সেই রীতি মেনেই সকলকে চলতে হবে। দলের নিয়মই সকলের আগে। কারও কোনও সমস্যা থাকতেই পারে, সেই সমস্যা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে জানালেন। তাতে কেউ সন্তুষ্ট নাও হতে পারেন। তারপর রাজ্যের অবজার্ভার বা ইনচার্জকে সমস্যার কথা জানানো যেতে পারে। দলের প্রত্যেকেরই সেই অধিকার রয়েছে। সেখানে জানিয়েও আপনি সন্তুষ্ট নাও হতে পারেন। এরপর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁকে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মহাশয়কেও জানানো যায়। কিন্তু যে অভিযোগে অনেকেই পদত্যাগ করছেন সেই অভিযোগগুলির যদি কোনও বাস্তবিকতা না থাকে তাহলে তো সন্দেহের অবকাশ থাকবে।’
গৌরীশঙ্কর ঘোষের পদ ছাড়া প্রসঙ্গে সুকান্ত আরও বলেন বলেন, ‘যতদূর আমি তাঁর বক্তব্য শুনেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে তিনি সম্ভবত মণ্ডল সভাপতি নিয়ে তাঁর উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মন্ডল সভাপতি ঘোষণা হওয়ার আগে উনি কী করে জানলেন যে ওনার কথা মতো তা হচ্ছে না? তাই স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে প্রশ্ন জাগছে উনি কোথা থেকে এটা জানছেন? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’
আরও পড়ুন- ইস্টার সানডে-তে বানান কিছু ট্র্যাডিশনাল রেসিপি! বাচ্চাদের মেনুতে দিন নয়া চমক