কলকাতা: কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কড়া বার্তার পর কি কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী? যখন এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে, তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পাশে দাঁড়াতেই দেখা গেল তৃণমূল-ত্যাগী বিজেপি নেতা তথা উত্তর কলকাতার পদ্ম প্রার্থী তাপস রায়কে। অধীরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘সন অব দ্য সয়েল’ বা ভূমিপূত্র বলে সম্বোধন করলেন তাপস। বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের ‘বন্ধুত্বের’ পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অধীর। ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ বাংলায় কাজ না করার জন্য শুরু থেকেই অধীর চৌধুরীকেই বিঁধেছে তৃণমূল শিবির। চতুর্থ দফার ভোটের আগে বহরমপুরের সভা থেকে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট কার্যকর না হওয়ার জন্য সরাসরি অধীরকেই দায়ী করেছেন অভিষেক।
এরই মধ্যেই আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সংঘাতের ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কড়া বার্তা দিয়েছে কংগ্রেসের দিল্লি নেতৃত্ব। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীর কেউ নন। দলের হাইকমান্ডই শেষ কথা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কারও অমত থাকলে, তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন, এই বার্তাও স্পষ্ট করছেন খাড়্গে। এমন অবস্থায় এবার অধীরের পাশে দাঁড়ালেন তাপস রায়। উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “অধীর তো সন অব দ্য সয়েল। ওঁ যেটা বুঝেছেন, সেটা বলেছেন। বাংলায় বিরোধী রাজনীতি তো খাড়্গেজিকে করতে হয় না। সেটা অধীরকে করতে হয়। শুধু অধীর নয়, বাংলায় যত বিরোধী দল আছে, সবাই একই কথা বলবে।”
গোটা বিষয়টি কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ব্যাখ্যা করলেও বিজেপি নেতার বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অধীর চেনেন। খাড়্গে চেনেন না।” প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির সতর্কবার্তার পর পাল্টা মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরীও। রণংদেহি মেজাজে তাঁরও দাবি,’এই লড়াই আমি কোনওভাবে থামাতে পারি না।’