Suvendu Adhikari: একটা সিসিটিভি সাড়ে ৩ লক্ষ! মেডিক্যাল কলেজে সিসিটিভি বসাতেও কাটমানি? শুভেন্দুর অভিযোগে শোরগোল
Suvendu Adhikari: আরও একটি মেডিক্যাল কলেজের দরপত্র দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, "আরামবাগের প্রফুল্ল চন্দ্র সেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫০টি সিসিটিভির জন্য দরপত্রে ধার্য মূল্য মাত্র এক কোটি পঁচাত্তর লক্ষ নিরানব্বই হাজার সাতশো ঊনত্রিশ টাকা। অর্থাৎ একটি সিসিটিভি লাগানোর জন্য খরচ মাত্র তিন লাখ একান্ন হাজার নয়শো চুয়াত্তর টাকা।"
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি বসানোর দাবি জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকারও জানায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও সিসিটিভি বসানো হবে। সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্য সরকার সিসিটিভি বসানোর কথা জানায়। এবার সেই সিসিটিভি বসানো নিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ খারিজ করল তৃণমূল।
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা লেখেন, “সঙ্কটকালে কাটমানি খেতে তৃণমূল বরাবরই সিদ্ধহস্ত। এবার রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য সিসিটিভি লাগানো নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে গত কয়েকমাস। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে তা কার্যকর করতে নির্দেশও দিয়েছে।’রাতের সাথী’ প্রকল্পের অধীনে সেই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এবং রাজ্য মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন এই বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করার ব্যপারে উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু সিসিটিভি লাগানোর খরচ দেখলে চমকে যাবেন।”
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দরপত্র উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, “ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৫টি সিসিটিভির জন্য দরপত্রে ধার্য মূল্য মাত্র তিন কোটি বাইশ লক্ষ বাহান্ন হাজার নয়শো তেইশ টাকা। অর্থাৎ একটি সিসিটিভি লাগানোর জন্য খরচ মাত্র এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার চারশো টাকা।”
এই খবরটিও পড়ুন
আরও একটি মেডিক্যাল কলেজের দরপত্র দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, “আরামবাগের প্রফুল্ল চন্দ্র সেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫০টি সিসিটিভির জন্য দরপত্রে ধার্য মূল্য মাত্র এক কোটি পঁচাত্তর লক্ষ নিরানব্বই হাজার সাতশো ঊনত্রিশ টাকা। অর্থাৎ একটি সিসিটিভি লাগানোর জন্য খরচ মাত্র তিন লাখ একান্ন হাজার নয়শো চুয়াত্তর টাকা।”
শুভেন্দুর অভিযোগ, “এই অবিশ্বাস্যকর চমকে দেওয়া দরপত্র সব দুর্নীতিকে ছাপিয়ে গিয়েছে।” বিরোধী দলনেতার অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারেননি। প্রশাসন কোথায় বেশি টাকা দেবে, কোথায় কম দেবে, সেটা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত।”