BLO: অ্যাপে ‘এডিট অপশন’ দিয়েও ফের তুলে নিল কমিশন, বিভ্রান্তিতে BLO-রা
SIR In WB: গত ১৯ নভেম্বর এই তথ্য সামনে আসে। কিন্তু ২ দিন পেরোতেই সেই অপশন তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, আবার শুক্রবারই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে CEC জ্ঞানেশ ভারতী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব নয়। ৪ ডিসেম্বর নয়, ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন।

কলকাতা: বিএলও-দের সুবিধার জন্য অ্যাপে এডিট অপশন দেওয়া হয়েছিল। যাতে কোনও ভুল ভ্রান্তি হলে তাঁরা অ্যাপেই পরে শুধরে নিতে পারেন। কিন্তু আবারও সেই অপশন তুলে নেওয়া হয়েছে। তাতে আরও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন বিএলওরা। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছিল, শাসকদলের বিএলএ-দের চাপে ভুল তথ্য দিতে বাধ্য হচ্ছেন বিএলও-রা। CEO-র কাছে অভিযোগ জানান বিএলও-রা। অনেক ক্ষেত্রেই চাপে পড়ে ভুল তথ্য আপলোড হচ্ছে, সে কথা কমিশনের দৃষ্টিতেও আনা হয়। তারপরই বিএলও-দের তরফ থেকে দাবি করা হয়, তাঁদের বক্তব্য শোনার পরই কমিশন এডিট অপশন দেয়। তাতে তথ্য ঠিক করতে পারবেন বিএলও-রা।
ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চের স্বপন মণ্ডল বলেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো অনিচ্ছাকৃত ভুলও হয়ে যায়, ডেটা এন্ট্রি করতে গেলেও ভুল হয়ে যায়। সবাই তো অনলাইনে সড়গড় নন। আজকে দেখলাম BLO অ্যাপে এডিট অপশনটা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ নভেম্বর এই তথ্য সামনে আসে। কিন্তু ২ দিন পেরোতেই সেই অপশন তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, আবার শুক্রবারই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে CEC জ্ঞানেশ ভারতী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব নয়। ৪ ডিসেম্বর নয়, ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। বিএলও-দের তরফে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে। কাজের চাপ এত বেশি, তা ২সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট বলছিলেন বিএলও-দের একাংশ। জেলাশাসকদের তরফে CEC-র সামনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কিন্তু CEC স্পষ্ট বলে দিয়েছে, বিএলও-দের বাড়তি চাপ থাকলেও, আগে কাজ শেষ না হলে ডিজিটাইজেশনের পর অন্যান্য কাজ শেষ করতে সমস্যা হবে।
