BLO: কেন ফর্ম ডিজিটাইজেশনে গাফিলতি? কমিশনকে শোকজের জবাব দিলেন বেলেঘাটার ৭ বিএলও
BLO: এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে ঢিলেমি হচ্ছে। কমিশন আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, যত সংখ্যক এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়া হবে, তার ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজেশনের করতে হবে। বেলেঘাটার সাত বিএলও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

কলকাতা: ফর্ম ডিজিটাইজেশনে গাফিলতি! বেলেঘাটা বিধানসভা এলাকায় কর্মরত সাত বিএলও-কে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই শোকজের জবাব দিলেন বিএলও-রা। তাঁরা জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশ মতো কাজ করবেন। তাঁদের বক্তব্য, বিএলও অ্যাপ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাঁচ-ছ’বার গিয়েও অনেক ভোটার কে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও নির্বাচন কমিশন আরও একবার স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কী কর্তব্য।
সূত্রের খবর, এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে ঢিলেমি হচ্ছে। কমিশন আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, যত সংখ্যক এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়া হবে, তার ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজেশনের করতে হবে। বেলেঘাটার সাত বিএলও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে। কারণ তাঁরা কেবলমাত্র ৪ শতাংশ ডিজিটাইজেশন করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন তাঁদের শোকজ করে। কেন তাঁদের এত দেরি, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে তাঁদের কারণ দর্শাতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, প্রথমে কেবল বিএলও-দের ফর্ম জমা নেওয়ারই কথা ছিল। সেই মতই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে কমিশনের তরফে হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ দেওয়া হয়, ফর্ম জমা নিলেই হবে না, ডিজিটাইজেশন করতে হবে। এরপরই একাধিক জায়গায় বিএলও-দের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, একে তো ফর্ম ডিজিটাইজেশন করার কোনও প্রশিক্ষণ তাঁদের দেওয়া হয়নি। দুই, এক-একটা ফর্ম ডিজিটাইজ করতে সময় লেগে যাচ্ছে ঘণ্টা খানেকের মতো! অনেকেই এই বিষয়টিতে সড়গড় নয়। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৪ ডিসেম্বর। সেক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন বিএলও-রা। বিষয়টি জেলাশাসকদের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের কাছেও জানানো হয়। কিন্তু কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ফর্ম ডিজিটাইজ করতেই হবে। সময়সীমা ৪ তারিখ! তবে ফর্ম ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, সেটা ভেবে বিএলও-দের সুবিধার্থে এডিট অপশন দেওয়া হয়েছে অ্যাপে। কোনও ভুলভ্রান্তি হলে বিএলও-রা এডিট করে নিতে পারবেন।
