Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পানীয় জল খেয়ে মৃত বন্দি, মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডের পর এবার আলিপুর মহিলা জেল!

সোমবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রিয়াঙ্কা তামাং নামে এক জেলবন্দির মৃত্যু হয়েছে, অসুস্থ আরও কয়েকজন

পানীয় জল খেয়ে মৃত বন্দি, মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডের পর এবার আলিপুর মহিলা জেল!
মেয়ের মৃতদেহ পুঁতে দিলেন বাবা (প্রতীকী চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2021 | 12:15 AM

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জল খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। অসুস্থ শতাধিক মানুষ। এবার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে এক বন্দীরও পানীয় জলে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জেল দফতর সূত্রে খবর, পেটের ব্যথা ও আমাশার সমস্যা নিয়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিত, পিজি-তে ভর্তি রয়েছেন আরও পাঁচ জন বন্দি।

সূত্রের খবর, সোমবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রিয়াঙ্কা তামাং নামে এক জেলবন্দির মৃত্যু হয়েছে। দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি আরও একাধিক বন্দি অসুস্থ বলে খবর। পেটের অসুখ নিয়ে জেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এছাড়া তিনজন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে এবং দু’জন পিজি-তে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে কোনও কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দাবি করছে, অসুস্থের সংখ্যাটা অনেক বেশি যা গোপন করছে জেল প্রশাসন।

যদিও জলবাহিত অসুখেই এই রোগ ছড়াচ্ছে কিনা এবং বিষাক্ত জলের কোনও উৎসস্থল খুঁজে পায়নি জেল দফতর। এদিন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে যান জেল দফতরের ডিআইজি ওয়েলফেয়ার সুদীপ্ত চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল খেয়ে মৃত্যুর খবর উঠে এসেছি এদিনই। স্থানীয়রা জানায়, কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের (73 no. ward) শ্রমিক আবাসনে দু’টি জলের ট্যাঙ্ক আছে। সেই দুটি ট্যাঙ্কের জলই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। গত কয়েক দিন সেই ট্যাঙ্কের জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডে পানীয় জল খেয়ে মৃত ১, অসুস্থ একাধিক বাসিন্দা

সূত্রের খবর, সজ্জন নামে আবাসনের এক বাসিন্দা ওই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে শম্ভুনাথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পার্ক সার্কাসের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্যাঙ্ক দু’টি দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয় না। নদর্মার জল কোনওভাবে ট্যাঙ্কের জলে মিশে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটেছে। বিষক্রিয়ার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অনুমান স্থানীয়দের। এবার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দির মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়াল।