Rathin Dandapat: জামিন পেলেন নেতাইকাণ্ডের রথীন দণ্ডপাট
Calcutta High Court: সম্প্রতি এই মামলায় জামিনের আবেদন করেন রথীন। এর আগে একাধিকবার শুনানিও হয়। সে সময় জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও আজ সোমবারের শুনানিতে জামিন পান তিনি। যেহেতু ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গিয়েছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে, তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।
কলকাতা: জামিন পেলেন নেতাইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রথীন দণ্ডপাট। সোমবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন রথীন। নেতাইকাণ্ডের সময় তাঁর বাড়ির ছাদ থেকেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি এই মামলায় জামিনের আবেদন করেন রথীন। এর আগে একাধিকবার শুনানিও হয়। সে সময় জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও আজ সোমবারের শুনানিতে জামিন পান তিনি। যেহেতু ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়ে গিয়েছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে, তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।
নেতাই মামলায় আগেই আরও দুই অভিযুক্ত পিন্টু রায় ও গণ্ডীবন রায় জামিন পান। তবে রথীনের জামিনের আবেদন সেই সময় খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। গত এক বছরে আরও সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ হয়েছে আদালতে। প্রায় ১০ বছর পর জামিন পেলেন রথীন। এতদিন বিচারাধীন বন্দি হিসাবে আছেন তিনি।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিনপুর-১ ব্লকের লালগড়ের নেতাই গ্রামের সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। ৯ জন মারা যান, আহত হন ২৮ জন। অভিযোগ ওঠে, রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। গ্রামের লোকজনকে নানাভাবে তারা উৎপাত করত বলেও অভিযোগ। বিভিন্ন কাজে বাড়ির মহিলাদের ডেকে পাঠানো হতো। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল গ্রামের মানুষের। ৭ তারিখ তারই প্রতিবাদে গ্রামের মহিলারা ফুঁসে ওঠেন। এরপরই গুলি চালনার ঘটনা বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। যে তদন্ত এখনও চলছে।