West Bengal Teachers: ‘শিক্ষকের যোগ্যতা কী, সব অভিভাবকদের জানা উচিত’, ২ সপ্তাহের মধ্যে পোর্টালে তথ্য আপলোড করার নির্দেশ হাইকোর্টের

West Bengal Teachers: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে। সেই বিভ্রান্তি যাতে আর না থাকে, তার জন্যই এই নির্দেশ হাইকোর্টের।

West Bengal Teachers: 'শিক্ষকের যোগ্যতা কী, সব অভিভাবকদের জানা উচিত', ২ সপ্তাহের মধ্যে পোর্টালে তথ্য আপলোড করার নির্দেশ হাইকোর্টের
ফাইল ছবিImage Credit source: WBSSC
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2024 | 5:33 PM

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বড় নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব সরকারি স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষিকাদের সরকারি পোর্টালে তথ্য আপলোড করতে হবে। “বাংলার শিক্ষা পোর্টালে” সব নথি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। বিচারপতি মনে করেন, যে শিক্ষক বা শিক্ষিকারা স্কুলে পড়াচ্ছেন, তাঁদের যোগ্যতা কী, তা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের জানা উচিত। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর রাজ্যের শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে।

বিচারপতি বসু এদিন মন্তব্য করেন, “স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয়ে পড়াচ্ছেন, সেই বিষয়ে তাঁর যোগ্যতা কী, সেটা ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের জানা উচিত। কারণ অভিযোগ উঠেছে যে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই, অথচ তাঁরা স্কুলে পড়াচ্ছেন। রাজ্যকে সেই জন্য প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, তা সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে।”

রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের তথ্য জড় করতে আরও দু’মাস সময় লাগবে বলে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক। রাজ্যের আইনজীবী এদিন হুগলি, বীরভুম ও নদিয়া জেলার রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন বিচারপতির হাতে। তবে সময় দিতে রাজি হননি বিচারপতি।

বিচারপতি বসু বলেন, “রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত শ্লো কেন?” বিচারপতি আরও বলেন, “আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, কিন্তু কোনও রকম নিয়োগপত্র নেই। তাই আর দেরি করা যাবে না। কারা স্কুলে চাকরি করছে সেটা সবার জানার দরকার।” আসলে মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের একটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেই এই প্রশ্ন ওঠে। সিআইডি মামলার তদন্তভার নেয়। কতজন এরকম বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে, সেই প্রশ্ন ওঠে।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ দাবি করেছেন, এভাবে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে রাজ্য সরকার। বিজেপি নেতা বলেন, “শিক্ষকদের মর্যাদাটা কোথায় নামিয়ে এনেছে সরকার। এখনও আমরা আমাদের শিক্ষকদের দেখলে প্রণাম করি। আর এখন তো শিক্ষকদের দেখলে জানতে চাওয়া হয়, সাদা ওএমআর জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল কি না। শিক্ষক সমাজের প্রতি এটা অবমাননাকর বিষয়।”