Mamata Banerjee: ‘SSKM-র ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রবীন্দ্রসঙ্গীত-নজরুলগীতি বাজুক’, মমতাকে কাছে পেয়ে আবদার তরুণীর
Mamata Banerjee: টিভিনাইন বাংলাকে পায়েল বলেন, "আসলে এখানে এত ওয়ার্ড আছে, এত রোগী ভর্তি থাকেন। সকলেই তো অসুস্থতা নিয়েই পড়ে থাকেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যদি ছোট ছোট বক্সের ব্যবস্থা করা যায়।” পায়েলের কথায়, হালকা করে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি চললে রোগীদের মানসিক দিক থেকে একটু ভাল লাগবে।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে এদিন এসএসকেএমে যান তিনি। বিকাল ৪টে ৪৭ মিনিট নাগাদ আসেন। ৫টা ২৫ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান। বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে উঠতে গিয়ে সেখানে সাধারণ মানুষকে দেখে ফের নেমে আসেন। প্রত্যেকে কেমন আছেন তা জানতে চান। শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন বলে তিনি জানান। সেই সময় ভিড়ের মধ্যে পায়েল চক্রবর্তী নামে এক তরুণী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবদার করেন, হাসপাতালের ভিতরে যে রোগীরা থাকেন, তাঁরা সারাদিন শুয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। বাইরের জগৎ বেশ কিছুদিনের জন্য তাঁদের কাছে সম্পূর্ণ অজানা হয়ে যায়। তাই যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে গানের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে ভাল হয়। অর্থাৎ গানের ছোট ছোট বক্স যদি বসানো হয়, তাহলে ভাল হয়। যেখানে রবীন্দ্র সঙ্গীত বা নজরুলগীতি চলবে। মুখ্যমন্ত্রী সেই আবদার শোনেন এবং তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা হাসপাতালের কর্তাদের দেখিয়ে বলেন, “আমি বলে যাচ্ছি, যা ব্যবস্থা করার ওঁরা করে দেবেন।”
এই ঘটনায় আপ্লুত ওই তরুণী পায়েল চক্রবর্তী। পায়েলের বাবা এসএসকেএমে ভর্তি। অস্ত্রোপচার হবে তাঁর শরীরে। মেয়েও আছেন বাবার সঙ্গে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে নিজের মনের কথা বলে দেন তিনি। পরে টিভিনাইন বাংলাকে পায়েল বলেন, “আসলে এখানে এত ওয়ার্ড আছে, এত রোগী ভর্তি থাকেন। সকলেই তো অসুস্থতা নিয়েই পড়ে থাকেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যদি ছোট ছোট বক্সের ব্যবস্থা করা যায়।”
পায়েলের কথায়, হালকা করে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি চললে রোগীদের মানসিক দিক থেকে একটু ভাল লাগবে। পায়েল বলেন, “উনি বললেন বিষয়টা দেখছি করা যেতে পারে কি না। যত কঠিন রোগই থাকুক না কেন, মানুষ কিন্তু গান শুনলে সুস্থ হয়ে যান। বিভিন্ন ধরনের রোগী আছেন এখানে। অনেক বাচ্চাও আছে। তারাও একটু সুস্থ বোধ করবে।” এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এত কাছে দাঁড়িয়ে কথা বলে দারুণ খুশি শিমুরালির তরুণী। বলেন, “আমি তো ওনাকে বলার পর থর থর করে কাঁপছি। আমার মতো সাধারণ মানুষের কথা যে তিনি শুনলেন ব্যস এটাই অনেক।”