CM Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এয়ার গান নিয়ে ঘুরছিলেন ডন বস্কো স্কুলের শিক্ষক, তারপর যা হল…
CM Mamata Banerjee: কালীঘাট থানায় পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে দেবাঞ্জন জানান, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। ডন বস্কো স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি তিনি শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত। সে কারণেই তাঁর ব্যাগে এয়ার গান রাখা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা দিয়েছে, কালীঘাট থানার আশপাশেই দেবাঞ্জন ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করছিলেন।

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরেই কালীঘাট থানার সামনে থেকে অস্ত্র-সহ ধরা পড়েন এক যুবক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁর কাছ থেকে একটি এয়ার গান উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ওই যুবককে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যায়। জানা যায়, ওই যুবকের নাম দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাবার নাম নীহারঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি সল্টলেকেরই বাসিন্দা। তবে তিনি এয়ার গান নিয়ে কেন ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন? কেনই বা তাঁর ব্যাগে বন্দুক ছিল?
কালীঘাট থানায় পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে দেবাঞ্জন জানান, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। ডন বস্কো স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি তিনি শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত। সে কারণেই তাঁর ব্যাগে এয়ার গান রাখা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা দিয়েছে, কালীঘাট থানার আশপাশেই দেবাঞ্জন ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করছিলেন। সন্দেহজনক লাগায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ব্যাগ থেকে এয়ারগান উদ্ধার হওয়ায় সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। তাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও পরে দেবাঞ্জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে অস্ত্র-সহ এক যুবক ধরা পড়ে। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তা থেকে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছিলেন, আদৌ যুবকের কী উদ্দেশ্য ছিল, সেটাই মূল ব্যাপার।
সেদিন যে সময়ে ওই যুবককে ধরা হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। ধর্মতলায় তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চে আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই তাঁর বাড়ির গলির ভিতর ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই যুবক। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তারও আগে কয়েক বছর আগে এক যুবক মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। পরে ওই যুবকের পরিবারে খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
