CM Mamata Banerjee: মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরুর থেকেও কলকাতায় জমির দাম সবচেয়ে বেশি; অনেক দেশ নজর রাখছে: মমতা

Real Estate Convention: রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় জোয়ার আনতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা ফ্রি হোল্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থাৎ ফ্রি-তে কাজ করতে পারবে।" যেমন, আমরা চা শিল্পে আমরা ১৫ শতাংশ দেব, চা শিল্পের জমি পর্যটনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে।

CM Mamata Banerjee: মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরুর থেকেও কলকাতায় জমির দাম সবচেয়ে বেশি; অনেক দেশ নজর রাখছে: মমতা
রিয়েল এস্টেট কনভেনশন-এর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2023 | 2:33 PM

কলকতা: ১২ বছরে নির্মাণ ক্ষেত্রে (রিয়েলএস্টেট) অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। সোমবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট কনভেনশন ২০২৩’-এর অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আবাসন শিল্পে (Real Estate) বিনিয়োগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata banerjee) সোমবার বলেন, “ভবিষ্যতে বাংলা কেবল পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার থাকবে না, সারা পৃথিবীর প্রবেশদ্বার হবে। অনেক দেশ এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তারা জানিয়েছে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য কলকাতা ও বাংলা।”

রিয়েল এস্টেট শিল্পে ক্রেডাই-এর বিশেষ অবদান রয়েছে বলে এদিন উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গল ২০২৩ -এর অনুষ্ঠান থেকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে সিমেন্ট কারখানা শ্রী সিমেন্ট-এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে সংস্থাটি ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই শিল্প করিডরের নাম দেওয়া হয়েছে জঙ্গলসুন্দরী। এর জন্য জমিও দেওয়া হয়েছে।” রিয়েল এস্টেট শিল্পে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গত দু-বছরে রিয়েল এস্টেট শিল্পে ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং প্রতি বছর ১০ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়ছে। এই ব্যবসায় ৪৪ লক্ষের বেশি কর্মী আছে।”

রিয়েল এস্টেট শিল্পের উন্নতির জন্য ইকোনমিক করিডর গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমরা ৩টি ইকোনমিক করিডর করার পরিকল্পনা করেছি। ডানকুনি-হলদিয়া করিডর, ডানকুনি-কল্যাণী করিডর এবং ডানকুনি-রঘুনাথপুর করিডর।” এর ফলে ব্যবসায় অনেক উন্নতি হবে এবং অনেক শিল্প আসবে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে এই ব্যবসায় কলকাতার জমির দাম সবচেয়ে বেশি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতায় জমি খুব মূল্যবান, দেশের মধ্যে কলকাতায় রিয়েল এস্টেটের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরুর থেকেও বেশি। আমাদের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে। সেই জমি নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলি কলকাতায় অনেক কিছু করতে পারে। যদি ক্রেডাই আগ্রহী হয় লজিস্টিক হাব, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার বা অনেক কিছু করতে পারে।”

এদিন কলকাতায় জমির দাম প্রসঙ্গে নাম না করে বিরোধীদেরও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে চক্রান্ত করে বলা হচ্ছে বাংলা এগোয়নি, কেবল হিংসা হয়। এটা ভুল। ব্যবসায় আমরা ১ নম্বর।” রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগ নিয়ে আসতে সরকার তৎপর এবং বিল্ডিং নীতির সরলীকরণ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে সরকারের বিভিন্ন অনলাইন পলিসি শিল্পসাথী থেকে অনেক কিছু আছে। যেমন, নির্মাণ পারমিট, জমি মিউটেশন, মিউটেশনের পেমেন্ট থেকে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জমি-বাড়ির কর প্রদান, জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, অটো রিনিউয়াল, বৈদ্যুতিক কানেকশন সবই অনলাইনে হচ্ছে। এছাড়া কেএমসি ও বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং নীতি সরল করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় জোয়ার আনতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ফ্রি হোল্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থাৎ ফ্রি-তে কাজ করতে পারবে।” যেমন, আমরা চা শিল্পে ১৫ শতাংশ দেব, চা শিল্পের জমি পর্যটনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। এপ্রসঙ্গে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, “মাকাইবাড়ি চা বাগানে এখন বড় হোটেল হয়েছে।” শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়াও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর পিছনে বসে সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়েছেন।