Calcutta High Court: লক আপে যুবকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘খুন’, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
Calcutta High Court: প্রসঙ্গত, স্থানীয় সেনা বাহিনীর ব্যারাকে ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন গোবিন্দ। জুলাইয়ের শেষে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় গোবিন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
কলকাতা: নবগ্রামে থানার লক আপে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বক্তব্য,”যথেষ্ট গুরুতর ঘটনা। স্বচ্ছভাবে এর তদন্ত হওয়া জরুরি।” মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার লক আপে গলায় বেল্টের ফাঁস দিয়ে গোবিন্দ ঘোষ নামে এক যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় কাঠগড়ায় পুলিশ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে ঘটনার আগে ও পরের তিন দিনের মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।পুলিশের থেকে এই মামলার তদন্তভার সিআইডি নিলেও, তদন্তের অগ্রগতি দেখতে চায় আদালত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কিত রিপোর্ট আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সেনা বাহিনীর ব্যারাকে ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন গোবিন্দ। জুলাইয়ের শেষে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় গোবিন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সন্দেহের বশে ২ অগষ্ট পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, কোনও এফআইআর ছাড়া তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকি চুরির কথাও জোর করে স্বীকার করানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ৪ অগস্ট পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, গোবিন্দ অসুস্থ। তারপর থানায় যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন, গোবিন্দের মৃত্যু হয়েছে। গোবিন্দের গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ স্পষ্ট ছিল বলে দাবি পরিবারের। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গলায় বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে গোবিন্দকে। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই পুলিশ দুই তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করা হল।
প্রসঙ্গত সোমবার সকালেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি চাওয়া হয়। লেডিস কম্পার্টমেন্টে এক যুবক ভ্রমণ করায় জিআরপি তাঁকে নামিয়ে নিয়ে যায়। তারপরে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি।