Shantanu on Kunal: ‘দলের প্রতি এতদিনের অবদান হঠাৎ শূন্য হয়ে যায় না’, বিতর্কের মধ্যেই কুণালের ‘পাশে’ শান্তুনু

Shantanu on Kunal: এদিকে কয়েকদিন আগে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যেই দুঃখপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল শান্তনু সেনকে। টিভি-৯ বাংলায় ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন। সেই শান্তনু এবার কুণালের হয়ে মুখ খোলা লোকসভা ভোটের মধ্যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Shantanu on Kunal: ‘দলের প্রতি এতদিনের অবদান হঠাৎ শূন্য হয়ে যায় না’, বিতর্কের মধ্যেই কুণালের ‘পাশে’ শান্তুনু
আর কী বললেন শান্তনু? Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2024 | 8:09 PM

কলকাতা: রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের পর থেকেই ফের চর্চায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে এরইমধ্যে আবার তৃণমূলের পঞ্চম দফার যে তারকা প্রচারকদের তালিকা সামনে এসেছে সেখানে নাম নেই কুণাল ঘোষের। তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। এদিকে এরইমধ্যে এবার কুণালের হয়ে ব্যাট ধরতে দেখা গেল প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। তাঁর দাবি, একটা-দুটো মন্তব্যের জন্য কোনওভাবেই কুণালের দলের প্রতি এতদিনের অবদান অস্বীকার করা যায় না। বলেন, “নির্বাচনের সময় এমন কিছু কথা বলে আমাদের দলের প্রার্থীকে বিব্রত করে থাকেন তার জন্য দল নিশ্চিত করে পদক্ষেপ করেছে। আমার কিছু বলার নেই। আমার পাশাপাশি কোনও একটা মানুষের এক দুদিনের মন্তব্যের জন্য তাঁর অতীতের যে দলের প্রতি যে অবদান সেটা কিন্তু হঠাৎ শূন্য হয়ে যায় না।”

এখানেই না থেমে শান্তনুর আরও সংযোজন, “বিগত কয়েক বছরে দল যখন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছে তখন শান্তনু সেন বা কুণাল ঘোষ, আমাদের মতো হাতেগোনা কয়েকজন আগু-পিছু না ভেবে দলের হয়ে বলে গিয়েছি, দলকে ডিফেন্ড করে গেছি। বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছি।”

একদিন আগে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা মিলেছিল কুণালের। বলেছিলেন, ‘প্রার্থী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাপসদাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি এক ইঞ্চিও পিছনে রাখতে পারব না।’ যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক দানা বাঁধে। এরইমধ্যে বুধবার বিকালে কুণালকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। এর আগে আবার কুণাল নিজেই দলের মুখপাত্রের পদ ছাড়েন। 

এদিকে কয়েকদিন আগে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যেই দুঃখপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল শান্তনু সেনকে। টিভি-৯ বাংলায় ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন। সেই শান্তনু এবার কুণালের হয়ে মুখ খোলা লোকসভা ভোটের মধ্যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও শান্তনুর দাবি, “দল একটা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে চলে। দলের মধ্যে কিছু বলার থাকলে দলের সুনির্দিষ্ট ফোরামে নিশ্চিত করে সেটা বলা উচিত। সুনির্দিষ্ট ফোরামে বললে আমি আশা করব যাদের কাছে বলা হবে তাঁরা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। তাঁরাও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনওভাবেই এমন কিছু বাইরে আসা উচিত নয় যাতে দল বিব্রত হয়।” তবে তার আরও সংযোজন, “দল একটা পরিবার। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু বলার থাকলে ঠিক যেমন পরিবারের সদস্যদের উচিত পরিবারের মধ্যে আলোচনা করা, আমার পরিবারের যাঁরা দায়িত্বে সিনিয়র হিসাবে রয়েছেন তাঁরা নিশ্চিত করে তাঁদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনে একটা সমাধান করবেন। এটাই ঐক্যবদ্ধ পরিবারের চিত্র। যা তৃণমূল কংগ্রেসে