TMCP: থানায় FIR থেকে ছাত্র নয় এমন নেতা! TMCP-তে পদন্নোতি পেলেন তাঁরাই?
Kolkata: বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের ছাত্র সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে চাইছে। তার জন্য তারা জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেছে। এমনকী, রাজ্য কমিটিতেও পরিবর্তন আসছে। যে যে নামগুলির সংযোজন হয়েছে তা নিয়ে বিরোধী দলগুলি বিতর্ক তৈরি করেছে।

কলকাতা: তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরাই। আবার ছাত্র নয় এমন পঞ্চাশ শতাংশের বেশি নেতাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত ছাত্র নেতাদের দেওয়া হয়েছে জেলার দায়িত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের ছাত্র সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে চাইছে। তার জন্য তারা জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেছে। এমনকী, রাজ্য কমিটিতেও পরিবর্তন আসছে। যে যে নামগুলির সংযোজন হয়েছে তা নিয়ে বিরোধী দলগুলি বিতর্ক তৈরি করেছে। এমন অনেক ছাত্র নেতার নাম রয়েছে যাঁদের বিরুদ্ধে থানায় FIR রয়েছে। অনেকে আবার পড়াশোনার সঙ্গেও যুক্ত নন।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে পদোন্নতি পেয়ে নতুন সভাপতি সৃঞ্জয় স্যান্যাল। তাঁর বিরুদ্ধেই বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল বিজেপি। আবার যোগেশচন্দ্র চৌধুরি কলেজের বিতর্কিত ছাত্রনেতা সাব্বির আলিরও পদোন্নতি। সাব্বির আলিকে দক্ষিণ কলকাতার সভাপতি বানাল TMCP। এই সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিল TMCP-রই একাংশ।
অভিযোগ থাকার পরও কেন এই পদন্নতি?
তৃণমূল কংগ্রেস মনে করেছে, এই সকল ছাত্র নেতারা লড়াই করতে পারবে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই কারণে পদন্নোতি। TMCP রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “সাব্বির ভীষণভাবে পলিটিক্যাল ডায়নামিক একটা ছেলে। ওর সকলের একটা যোগাযোগ রয়েছে। সাব্বির বা সৃঞ্জনকে আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। সেই কারণেই এদের সম্বন্ধে অভিযোগ করছে। আর মানুষদের মধ্যে এদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। আর যাঁদের কথা বলছেন তাঁরা সারা বছর ছাত্রদের পাশে থাকে। বিপুল জনপ্রিয়তা আছে। আর দল দেখেছে যে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।” বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “এটা তো তৃণমূলের কালচার। ওরা যেটা করছে সেটা তো সবাই জানে। যে যত বদমাসি ভাল করতে পারবে সে তত উপরে যাবে।”
