Nabanna Abhijan: রাম নয়, বাম তৃণমূলের পাশে; সুকান্তের কটাক্ষে বিজেপিকে হাথরস-খোঁচা সিপিএমের

Aug 27, 2024 | 6:53 PM

CPIM-BJP: সুর চড়িয়েছেন বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর। হাথরসের প্রসঙ্গ টেনে দেগেছেন। বলছেন, “যাঁরা হাথরস করেছে তাঁদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিলে তো তা খুবই লজ্জাজনক হবে। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আছি। ঘটনার দিন আমরাই প্রথম মৃতদেহের গাড়ি আটকেছিলাম। এখনও আন্দোলনে আছি আমরাও।”

Nabanna Abhijan: রাম নয়, বাম তৃণমূলের পাশে; সুকান্তের কটাক্ষে বিজেপিকে হাথরস-খোঁচা সিপিএমের
রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বামেরা ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানকে সমর্থন করছে না। চাপানউতোরের মধ্যেই একদিন আগে এ কথা ফের একবার স্পষ্ট করতে দেখা গিয়েছিল বাম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। এবার নবান্ন অভিযানের দিন ফের একবার সিপএমকে একহাত নিতে দেখা গেল বিজেপিকে। তোপ দাগলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ‘তৃণমূল-বাম’ সেটিং তত্ত্ব সামনে এনে করেছেন গুরুতর অভিযোগ। বলছেন, “গত পরশু থেকে বামেরা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। বলেছে এটা রামের আন্দোলন। বামপন্থীরা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং রাজনীতি করছে।” 

কী বলছে বামেরা? 

পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর। হাথরসের প্রসঙ্গ টেনে দেগেছেন তোপ। বলছেন, “যাঁরা হাথরস করেছে তাঁদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিলে তো তা খুবই লজ্জাজনক হবে। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আছি। ঘটনার দিন আমরাই প্রথম মৃতদেহের গাড়ি আটকেছিলাম। এখনও আন্দোলনে আছি আমরাও। আজও রাস্তাতেই আছি। আসলে ওনারা হঠাৎ নারীবাদী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না।” প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে এদিন ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হলেও বারেবারে উঠে এসেছে রাজনীতির প্রসঙ্গ। নেপথ্যে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের হাত, নানা স্তর থেকে বারেবারে উঠেছে সে কথা। যদিও সোমবার রাতে যদিও ‘ছাত্র সমাজের’ নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে সেই দাবি নসাৎ করেন। 

এই খবরটিও পড়ুন

এরইমধ্যে আবার ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী দাবি করেন, তাঁর নাম নবান্ন অভিযানের সঙ্গে জুড়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু, তিনি স্পষ্ট বলেন, “এসএফআই, ডিওয়াইএফআই বা বাম সংগঠনরা এই নবান্ন অভিযানকে একেবারেই সমর্থন করছে না।” এরইমধ্যে এবার সুকান্তর বাম-তৃণমূল সেটিং তত্ত্বে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।  

সুকান্তকে তোপ দেগেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। টিভি ৯ বাংলাকে বললেন, “সুকান্তবাবুরা বলতে পারবেন কারা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল? হঠাৎ ছাত্রদের নাম করে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হল। কিন্তু, যারা গিয়েছিল তাঁরা কারা? পুরোপুরি পুরোপুরি গন্ডোগোল পাকানোর জন্য এটা করা হয়েছে। আসলে সংগঠিত আন্দোলন যেটা গড়ে উঠছে সেটাকে ভুল পথে চালিত করার জন্যই এই কাজ।” বিজেপি সেটিংয়ের কথা বললেও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আবার বামেদের একহাত নিয়েছেন। এদিনের নবান্ন অভিযানে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল পাশে দাঁড়ান পুলিশের। বলেন, “পুলিশের যে কোনও কর্মী আজ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। সিপিএম-এর জমানার সময় বুদ্ধবাবুর পুলিশ কোচবিহারে ৫ জনকে গুলি করে মেরে দিয়েছিল। এখানে পুলিশ সংযত। সবাই দেখেছে কারা হামলা করেছে।” একই সুর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গলাতেও। বলেন, “অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল একটা অরাজকতা তৈরি করার জন্য। কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনায় গুন্ডা আমদানি করা হয়েছে।” 

বনধের ডাক বিজেপির

এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে বুধবার আবার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ঘোষণা করেছেন সুকান্ত। যদিও বনধ যাতে কেউ না সমর্থন করেন সেই আবেদন বারবার করেছেন চন্দ্রিমা, ব্রাত্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও বলছেন একই কথা। সাফ বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে আগামীকালের বনধা মানা হবে না। সকল কে অনুরোধ বনধ মেনে নেবেন না। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের জনজীবন স্তব্ধ করা বেআইনি।” 

Next Article