Bengal BJP : সম্মতি ছাড়াই কীভাবে রাজ্য কমিটিতে? সুকান্তদের অস্বস্তি বাড়িয়ে চিঠি ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Bengal BJP : ৪ মে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তার আগেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে ডামাডোল ক্রমশ বাড়ছে।

Bengal BJP : সম্মতি ছাড়াই কীভাবে রাজ্য কমিটিতে? সুকান্তদের অস্বস্তি বাড়িয়ে চিঠি ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজ্য কমিটি থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য সুকান্ত মজুমদারকে অনুরোধ জানিয়েছেন ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 5:45 PM

কলকাতা : টানাপোড়েন থামছে না রাজ্য বিজেপির অন্দরে। বরং বেড়েই চলেছে। এবার সুকান্ত মজুমদারদের অস্বস্তি বাড়ালেন রাজ্য কমিটির সদস্য ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় (Riddhi Banerjee)। তাঁর বক্তব্য, সম্মতি না নিয়েই তাঁর নাম রাখা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি পাঠিয়েছেন। ইমেল করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকেও। স্বভাবতই, তাঁর এই চিঠি ঘিরে রাজ্য বিজেপিতে শোরগোল পড়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিতে টানাপোড়েন চলছে। প্রকাশ্যে রাজ্য নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। একাধিক নেতা দলীয় পদ ছেড়েছেন। এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে ৪ মে রাজ্যে আসছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর আসার আগে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য বিজেপির। রাজ্য কমিটি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়ে সুকান্তকে চিঠি দিলেন সংগীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের পর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁকে দলের কাজকর্মে দেখা যায়নি। তারপরও কেন তাঁর নাম রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।

সুকান্তকে পাঠানো চিঠিতে ঋদ্ধি লিখেছেন, “বিজেপির যে রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাতে আমার নাম রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি বিস্মিত যে এই নিয়ে কেউ আমার সম্মতি নেয়নি। বিজেপির রাজ্য অফিসের তরফেও এই নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”

চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, “বাংলা সংস্কৃতি জগতে আমি পরিচিত নাম। একথা ঠিক যে সাধারণ মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্যে ২০২০-২১ সালে আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু, পরে মোহভঙ্গ হয় এবং আপনার দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেই। আমার অনুরোধ, বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে আমার নাম বাদ দেওয়া হোক। এবং যথাযথ ভাবে তা ঘোষণা করা হোক।”

ঋদ্ধির চিঠি নিয়ে আজ বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন মোহভঙ্গ হল, সেটা উনিই বলতে পারবেন। তাঁর থাকার ইচ্ছে নেই, সেটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” শোনা যাচ্ছে, রাজ্য কমিটির আরও এক সদস্য খুব শীঘ্রই চিঠি দেবেন তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য। তিনিও সংস্কৃতি জগতের। বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকেও। দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা সত্ত্বেও রাজ্য কমিটির মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কেন নাম থাকবে ঋদ্ধিদের? বিজেপির অন্দরেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : ‘নিশ্চয় ইফতারের আমন্ত্রণ ছিল’, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের আমন্ত্রণ এড়ানোয় মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের