ED-CBI এর ভূমিকায় অসন্তোষ রাজ্য বিজেপির অন্দরে, শুভেন্দু-শমীকের সুর শঙ্করের গলায়

ED-CBI: এর আগে কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাফ বলেছিলেন, “ইডি-র আধিকারিকেরা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। তাঁদের আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত। আরও তৎপরতার সঙ্গে তদন্তকে গুটিয়ে আনা দরকার।”

ED-CBI এর ভূমিকায় অসন্তোষ রাজ্য বিজেপির অন্দরে, শুভেন্দু-শমীকের সুর শঙ্করের গলায়
কী বলছেন শঙ্কর?Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Aug 03, 2024 | 1:07 PM

কলকাতা: বিজেপির অন্দরেই ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভের সুর। আগেই সুর চড়িয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা। এবার একই পথে শঙ্কর ঘোষ। প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে। বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ইডি-সিবিআইকে আরও তৎপর দেখতে চায়। কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা তদন্তে ইডি-সিবিআই যে ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে তা দেখতে চায় বাংলার মানুষ। যতক্ষণ না এটা সন্তুষ্টির জায়গায় পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছি।”

এর আগে কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাফ বলেছিলেন, “ইডি-র আধিকারিকেরা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। তাঁদের আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত। আরও তৎপরতার সঙ্গে তদন্তকে গুটিয়ে আনা দরকার।” ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শমীক ভট্টাচার্যও। বলেছিলেন, “ওদের তদন্তে আমরা সন্তুষ্ট নই। দীর্ঘদিন ধরে এই তদন্ত চলছে। তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিরক্ত। আমরাও বিরক্ত উত্তর দিতে দিতে। দ্রুত এই তদন্ত শেষ করা উচিত।”

পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার তো বলেছেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, নিরপেক্ষতার চালচুলো নেই। শুধু বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরির  চেষ্টা চলেছে। সে ক্ষেত্রে এরকম তো হবেই। তদন্ত শেষ করলেই তাঁদের সমস্ত জারিজুরি শেষ যাবে। তদন্তে কী বের হবে তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থারই সন্দেহ আছে। তাই তদন্ত যে দীর্ঘসূত্রি হবে কোনও অভিমুখ থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক।” বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি ওদের নখ-দাঁত ভেঙে দিয়ে অসহায় করে দিয়েছে। এখন তাঁদেরই ওই জন্য উল্টো কথা বলতে হচ্ছে। যদিও মোদী থাকতে কারও উপর আস্থা রাখা যাবে না। মোদী সংবিধান নষ্ট করেছে, লোকসভার গরিমা নষ্ট করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নষ্ট করে দিয়েছে। ”