দুয়ারে ত্রাণ: অধিকাংশ আবেদনপত্রই বাতিল, বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন ৮৬ হাজারেরও বেশি
দুয়ারে ত্রাণ (Duare Tran) প্রকল্পের টাকা পেতে যত জন ইয়াস বিধ্বস্ত গ্রামবাসী আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই বাতিল করল নবান্ন।
কলকাতা: কোথাও মেলেনি প্রয়োজনীয় তথ্য, কোথাও আবার আবেদনপত্রই থেকে গিয়েছে অসম্পূর্ণ। দুয়ারে ত্রাণ (Duare Tran) প্রকল্পের টাকা পেতে যত জন ইয়াস বিধ্বস্ত গ্রামবাসী আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই বাতিল করল নবান্ন। দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে বাড়ি ভাঙার টাকা পাচ্ছেন ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সূত্রের খবর, নবান্নে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার আবেদনকারী ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাতে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ১,৬২,৩৭১ টি আবেদন জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে। মোট ২ লক্ষ ৪৭ হাজার বাড়ি ভাঙার অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ ইনকোয়ারি রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তার মধ্যে ৩৮ হাজার ১০০ টি আবেদনপত্র মঞ্জুর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্যের অর্থ দফতর মঞ্জুর করেছে ৩০০ কোটি টাকা।
♦ চাষাবাদের ক্ষতির ক্ষেত্রে- শস্যের ক্ষতির ক্ষেত্রে প্রত্যেক চাষিকে ন্যূনতম ১০০০টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
♦ বিপর্যয় মোকাবিলায়- যাঁদের বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য। যাঁদের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের ৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ।
♦ গবাদি পশুর ক্ষেত্রে- দুগ্ধপ্রদায়ী গবাদি পশু যেমন গরু, মহিষের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা করে সাহায্য। ভেড়া কিংবা ছাগলের ক্ষেত্রে অঙ্কটা ৩ হাজার টাকা। ষাঁড়ের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাছুরের ক্ষেত্রে ১৬ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ।
♦ হর্টিকালচার- পান পাতা চাষিদের মাথা পিছু ৫ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ।
♦ ফিশারি- মৎস্যজীবীদের নৌকা পুুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য। জাল কিনতে মাথা পিছু ২৬০০ টাকা ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা মেরামতিতে ৫ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে।
♦ এমএসএমই- যাঁদের গোডাউন, শোরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সন্তানের মনে হয়েছে, গিয়েছেন,’ অভিজিতের হাত-ত্যাগ নিয়ে মন্তব্য অধীরের
প্রসঙ্গত, আমফানের তাণ্ডবে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই সময় ত্রাণ ও পুনর্গঠনে রাজ্য সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল তা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন মহল থেকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইয়াসের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও অর্থের সদ্বব্যবহারের স্বার্থেই গোটা প্রক্রিয়াটা তিনি প্রশাসনিক স্তরেই রাখতে চান বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।