AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sujit Bose ED Raid: ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে মধ্যরাতে সুজিত বসুর অফিস থেকে বেরল ইডি, বড় কোনও তথ্য হাতে এল?

ED Raid: প্রায় ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর রাত দেড়টা নাগাদ সুজিত বসুর অফিস থেকে বেরিয়ে যায় ইডি।  সুজিত বসুর ছেলের রেস্তোরাঁতেও তল্লাশি চালায় ইডি। বাইপাস সংলগ্ন ধাবায় প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। ভোর রাতে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। 

Sujit Bose ED Raid: ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে মধ্যরাতে সুজিত বসুর অফিস থেকে বেরল ইডি, বড় কোনও তথ্য হাতে এল?
সুজিত বসুর অফিস।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2025 | 11:32 AM
Share

কলকাতা: সেই সকালে এসেছিলেন, সূর্য ডুবে মধ্য রাত গড়ানোর পর রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) অফিস থেকে বেরলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রায় ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর রাত দেড়টা নাগাদ সুজিত বসুর অফিস থেকে বেরিয়ে যায় ইডি (Enforcement Directorate)।

দুর্গাপুজো মিটতেই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে কোমর বেঁধে ফের নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একসঙ্গে ১০ জায়গায় তল্লাশি চলে। আর সেখানেই ২১ মাস পর আবার ইডির স্ক্যানারে চলে এসেছেন সুজিত বসু। গতকাল, ১০ অক্টোবর সকালে সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিসে হানা দেয় ইডি। সকাল থেকে তল্লাশি চলে। সন্ধ্যা গড়ালেও ইডি আধিকারিকরা বের হননি। শেষে ২০ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত দেড়টা নাগাদ দমকলমন্ত্রীর অফিস থেকে বের হন ইডি আধিকারিকরা।  

অন্যদিকে, সুজিত বসুর ছেলের রেস্তোরাঁতেও তল্লাশি চালায় ইডি। বাইপাস সংলগ্ন ধাবায় প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। ভোর রাতে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর।

শুধু সুজিত বসুর ঘনিষ্ঠ নেতা, চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্য়ান নিতাই দত্তের বাড়ি ও গোডাউনেও দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয়। ইডি জানতে চাইছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুজিত বসুর রেস্তোরাঁ, তাঁর ছেলের রেস্তোরাঁয় যে টাকা ঢালা হয়েছে, সেই টাকা এসেছে কোথা থেকে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেও, ১২ জানুয়ারি সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেই সময় বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছিল সুজিত বসুর ফোন।

এদিকে, ইডির সক্রিয়তা নিয়ে দমকলমন্ত্রী বলেছেন, সবাই জানে যে এটা প্রেসার পলিটিক্স। যত নির্বাচন সামনে আসবে, তত এগুলো বাড়বে। ভয় পেয়ে কি চুপ করে বসে থাকব বা পালিয়ে যাব? এটা ভোটের রাজনীতি। এভাবে না বলে অফিসে ঢুকে পড়া…এটাও তো হতে পারে যে আমাদের যে কাগজপত্র রয়েছে, তার মধ্যে অন্য কাগজ ঢুকিয়ে দিল। আইনের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বিরোধীরাও চুপ নেই। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “এত বড় দুর্গাপুজো, এত অনুষ্ঠান, নিজের জন্মদিনে মুম্বই থেকে শিল্পী এনে অনুষ্ঠান, এত টাকা কোথা থেকে আসছে, জনগণকে জবাব দিতে হবে তো।” আবার অর্জুন সিং বলেন, “সুজিত বসুর একটা রোলের দোকান ছিল। আজ কম করে ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক। এদের তো গ্রেফতার করে তদন্ত করা উচিত।”