AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election Commission: ২০০২-২৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার বৃদ্ধি ৬৭.২৮ শতাংশ, সীমান্তের লাফিয়ে বেড়েছে ভোটার

Election Commission: এই পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, ২০০২-২০২৫ সাল পর্যন্ত ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যার হার সবথেকে বেশি ২০০৯-২০১৭ সালের মধ্যেই। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেই নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। এখানে গড় বৃদ্ধির হার ৬৭.২৮ শতাংশ। উত্তর দিনাজপুরে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ ভোটার বেড়েছে।

Election Commission: ২০০২-২৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার বৃদ্ধি ৬৭.২৮ শতাংশ, সীমান্তের লাফিয়ে বেড়েছে ভোটার
সীমান্তে লাফিয়ে বেড়েছে ভোটারের সংখ্যা Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2025 | 2:58 PM
Share

কলকাতা: SIR আবহে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্বাচন কমিশনের রাজ্যের ভোটার পরিসংখ্যানে বিস্ফোরক তথ্য। গত ২৩ বছরে সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্বাভাবিক ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে ভোটার বৃদ্ধি ৬৭.২৮ শতাংশ। অস্বাভাবিক এই ভোটার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান সীমান্তবর্তী জেলায়। ২৩ বছরে মালদহে ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে ৯৫ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে ৮২ শতাংশ, দুই ২৪ পরগনায় ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে ৮৩ ও ৭২ শতাংশ। উল্লেখ্য, কলকাতায় ভোটার বৃদ্ধির হার মাত্র ৪ শতাংশ।

২০০২ সালে SIR হয়েছিল। কাট টু ২০২৫, SIR হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে কীভাবে ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে, কোন কোন এলাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, সেটা ভালভাবে নজর করে বোঝা যাবে, ২০০৯-১০ সালে ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যা ৪.৯৯ শতাংশ, ২০১০-১১ সালে ২. ৪ শতাংশ। ২০০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত ১২ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে। ২০০৯-২০১৭ সালে যখন বামফ্রন্ট জমানা শেষ হয়ে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে, সে সময়ে ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যা ২১.৮ শতাংশ। ২০১৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যা ১২ শতাংশ।

অর্থাৎ এই পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, ২০০২-২০২৫ সাল পর্যন্ত ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যার হার সবথেকে বেশি ২০০৯-২০১৭ সালের মধ্যেই। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেই নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। এখানে গড় বৃদ্ধির হার ৬৭.২৮ শতাংশ। উত্তর দিনাজপুরে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ ভোটার বেড়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, দুই ২৪ পরগনায় অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজেপি প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিল, সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই প্রশ্নগুলো শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরেই তুলে আনছেন। SIR হচ্ছে এক্ষেত্রে প্রতিষেধক। জমিতে পোকা মারতে প্রতিষেধক দিলে যেমন মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা পোকামাকড় বেরিয়ে আসে, এক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমেছেন। ”

তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “সিলেবাসে বলা ছিল সংখ্যালঘু তাড়াও। এখন হচ্ছে মতুয়া তাড়াও, এসএসটি তাড়াও। সীমান্তবর্তী এলাকায় যে বিপুল উত্থান তো, সীমান্তবর্তী এলাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাংসদ কোন রাজনৈতিক দলের?”