সারদাকাণ্ডে সক্রিয় ইডি, নোটিস মদন-টুটুদের

প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে আগামী ১৮ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস দিয়েছে ইডি। একই সঙ্গে মোহনবাগান কর্তা স্বপন সাধন বসু (টুটু বসু) ও তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

সারদাকাণ্ডে সক্রিয় ইডি, নোটিস মদন-টুটুদের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 12, 2021 | 5:34 PM

কলকাতা: সারদাকাণ্ডে (Saradha Chit Fund Scam) ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (Enforcement Directorate)। এ বার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে (Madan Mitra) ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে স্বপন সাধন বসু (টুটু বসু) ও আহমেদ হাসান ইমরানকে। আগামী সপ্তাহেই এই তিনজনকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের।

প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে আগামী ১৮ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস দিয়েছে ইডি। একই সঙ্গে মোহনবাগান কর্তা স্বপন সাধন বসু (টুটু বসু) ও তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। টুটু বসুকে আগামী ১৭ মার্চ এবং আহমেদ হাসান ইমরানকে ১৮ মার্চ ডেকে পাঠানো হয়েছে। ভোটের মুখে সারদাকাণ্ডে ইডি-র এই সক্রিয়তা অবশ্য ‘তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা’ হিসেবে দেখছে শাসকদল।

সারদাকাণ্ডে ইডি-র সক্রিয়তা যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা বিগত কয়েক দিনের পদক্ষেপেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি শিল্পী শুভাপ্রসন্নের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কর্ত দেবব্রত সরকার-সহ একাধিক ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই এমন যাদের আগেও সিবিআই বা ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

ইডি-র নোটিস প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র বলেন, “ইডি-র চিঠি এখনও পাইনি। যদি পাই তবে ভেবে দেখব। ইডি যেমন সহযোগিতা চাইবে তেমন সহযোগিতা করব।”

আরও পড়ুন: যোগ্য প্রার্থীই নেই, ৩০ আসনের দাবি থেকে সরছেন আব্বাস

প্রসঙ্গত, এ দিনই আবার আইকোর মামলায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস দিয়েছে সিবিআই। তাঁকেও আগামী সপ্তাহে তলব করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। এই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমানে দুটো শরিক আছে। একটা সিবিআই, আরেকটা ইডি। বাংলার নির্বাচনের আগে তাদেরকে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নোটিসের কিছু গুরুত্ব নেই, এতে কিছু আসে যায় না। পার্থবাবু নিশ্চয়ই আইনি ব্যবস্থা নেবেন। দলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে এভাবে।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা পালটা জবাবে বলেন, “যাদের সঙ্গে বিভিন্ন চিটফান্ডের যোগাযোগ রয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। ভোটের সময় দেখে কি দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ থাকবে! কেউ অপরাধ না করে থাকলে ভয়ের কারণ নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করা মানেই তো দোষী নয়।”