Politics in Bengal: ‘ভাতা নাও ভোট দাও’, অনুদান দিয়ে অনুগত ভোটার তৈরিই এখন কী তবে মূল লক্ষ্য?
Politics in Bengal: রাজনীতি থেকে নীতির সওয়াল কি ক্রমে ফিকে হয়ে আসছে? পরিবর্তে ভোটমুখী জনতাকে আকৃষ্ট করতে এখন শাসক বিরোধী সকলেরই মুখে পাইয়ে দেওয়ার কথা। তাতেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে এই ধরনের একগুচ্ছ প্রশ্ন। তবে কি ডোলই এখন ভোট রাজনীতির চালিকা শক্তি?
কলকাতা: গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ভোটের উত্তাপও। এখন যখন ভোটই রাজনীতির মূল সুর তখন ভোটমুখী বাংলায় ভাতা বা ডোল নিয়ে ডামাডোলও চরমে। ভোট না দিলে ডোল নয়। এমন কথা শোনা গিয়েছিল খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, জামালপুরের নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূলের নম্বর টু বলেছেন যে সব জায়গায় তৃণমূল জিতবে সেইসব জায়গায় আবাসের টাকা পৌঁছবে ডিসেম্বরের মধ্যেই। তবে কী অভিষেক এক প্রচ্ছন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন যে ভোট না দিলে ভাতা বন্ধ হতে পারে? ঠিক যেমনটা কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। এখন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে তবে কী চাওয়া আর পাওয়াতেই আবর্তিত হচ্ছে রাজনীতি? অনুদান পেতে গেলে পরিবর্তে দিতে হবে আনুগত্য? নচেৎ নয়?
রাজনীতি থেকে নীতির সওয়াল কি ক্রমে ফিকে হয়ে আসছে? পরিবর্তে ভোটমুখী জনতাকে আকৃষ্ট করতে এখন শাসক বিরোধী সকলেরই মুখে পাইয়ে দেওয়ার কথা। তাতেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে এই ধরনের একগুচ্ছ প্রশ্ন। তবে কি ডোলই এখন ভোট রাজনীতির চালিকা শক্তি? ভোটের মুখে সেই ডোল নিয়ে ডামাডোলও চরমে । তৃণমূল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভাতা বৃদ্ধি করে হাজার টাকা করলে বিজেপির প্রতিশ্রুতি জিতলে তারা দেবেন তিন হাজার। কংগ্রেস কয়েক ধাপ এগিয়ে তাদের ইস্তেহারে কথা দিয়েছেন মহিলাদের বার্ষিক অনুদান দেবেন এক লক্ষ টাকা। তা নিয়েও চাপনউতোর চলছে রাজনীতির আঙিনায়।
এখন প্রশ্ন রাষ্ট্র কোনও অনুদান দিতেই পারে নাগরিককে। এটা রাষ্ট্রের কর্তব্য এবং নাগরিকের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কোভিডকালে অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন সরাসরি নাগরিকের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই অনুদান দিয়ে নিঃশর্ত আনুগত্য দাবি করা আদৌ কতটা সঙ্গত? রাস্ট্রের কর্তব্য বা নাগরিকের অধিকার নয়, সরাসরি অনুদান ও অনুগত ভোটার তৈরিই কী এখন হালফিলের রাজনীতির হাওয়া? প্রশ্ন ঘুরছেই।