Load shedding in Kolkata: সরকার বলছে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, তারপরেও কেন হচ্ছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়? সমস্যা কোথায়?
Load shedding in Kolkata: এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। একে তো প্রচন্ড গরম। দিনভর ঘেমে নেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। তারওপর দিনের শেষে বাড়ি ফিরে বিদ্যুৎ নেই! গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কলকাতা এবং শহরতলির একের পর এক এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে।
কলকাতা: বৃষ্টির দেখা নেই, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে বর্ষাও নাকি লেট রান করছে। ঝলসানো রোদ আর প্যাচপ্যাচে গরমে কাহিল আমি আপনি সবাই। অফিস কাছারি, ব্যবসা বাণিজ্য, বাজার হাট যে কোনও কাজেই কমবেশি প্রত্যেককেই বাইরে বের হতে হচ্ছে। ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে বাড়ি ফিরে আরেক সমস্যা। বাড়ি এসে ফ্যানটা চালাতে গিয়ে দেখছেন কারেন্ট নেই (Load shedding in Kolkata)। রাতের অবস্থা তো আরও দুর্বিষহ। এমনিতেই রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধিটা রেকর্ড করেছে। তারমধ্যে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় রাতে বিদ্যুৎ নেই। দক্ষিণের বেহালা-হরিদেবপুর থেকে উত্তরের হাতিবাগান-সিঁথি, একের পর এক এলাকার একই চিত্র।
একই ছবি হরিদেবপুর, কুঁদঘাট, বেহালা, মুকুন্দপুর, যোধপুর পার্কের মতো একাধিক এলাকার বেশ কিছু জায়গায়। উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান, হাতিবাগান, কলুটোলা, বিকে পাল অ্যাভিনিউ, কাঁকুড়গাছি, বেলেঘাটা, সিঁথি, নাগের বাজার, দমদমের বিভিন্ন এলাকায় রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ। রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুত থাকছে না। কেন এই সমস্যা? বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি নাকি অতিরিক্ত লোডিংয়েই সমস্যা? কী বলছে বিদ্যুৎ দফতর? কী বলছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী?
সরকার বলছে বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যাপ্ত রয়েছে। গরম বাড়ার কারণে অনেক বাড়িতেই যে পরিমাণ লোড রয়েছে, তার থেকে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। হাজারও সচেতনতাতেও এই প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না বলেও দাবি বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। তিনি বলছেন, “বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই। সিস্টেমের সমস্যা। কারণ অনেকে যা লোড নিয়ে রেখেছেন তাঁর থেকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করছেন। চলছে বাড়তি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। লোড না বাড়িয়ে একসঙ্গে অনেক জিনিস চালানোতেই হচ্ছে সমস্যা। সরকার কঠোর হলে তো ওভারলোডিংয়ের জন্য লাইনটা কেটে দিতে হয়। এ নিয়ে বারবার প্রচার করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে লোড বাড়াতে।”
মন্ত্রী বলছেন, বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই। তারপরেও কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন অবস্থা? কিছু মানুষ যদি অসদুপায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারও করে থাকেন, তার ফল ভুগবেন বাকি নাগরিকরা? কেন শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাচ্ছে না? অসহ্য গরমে বিদ্যুতের এই বিপর্যয় করদাতা নাগরিকরা কতদিন ভোগ করবেন? প্রশ্ন তো উঠছেই। সিইএসসি-র নজরদারিও কি যথেষ্ট? আমপান ঝড়ের সময় CESC-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শহরাঞ্চলে CESC-র ব্যবসার একাধিপত্ত্বই কি নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে? উঠছে সেই প্রশ্নও।