Governor Jagdeep Dhankhar: মুখ্যসচিবকে চিঠি শুভেন্দুর, ‘রাজ্যে কেন অষোষিত জরুরি অবস্থা!’ সরব রাজ্যপাল

Governor Jagdeep Dhankhar: এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুভেন্দুকে কেন আটকানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়াও জানতে চেয়েছেন তিনি।

Governor Jagdeep Dhankhar: মুখ্যসচিবকে চিঠি শুভেন্দুর, 'রাজ্যে কেন অষোষিত জরুরি অবস্থা!' সরব রাজ্যপাল
ছবি - চিন্তায় জগদীপ ধনখড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2022 | 4:50 PM

কলকাতা: হাওড়া যাওয়ার পথেই তমলুকে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Opposition leader Shuvendu Adhikari)। অন্যদিকে শনিবার রাত থেকেই কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সঙ্গে পুলিশের প্রহরার সংখ্যা কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে হাওড়ায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তাই অশান্তি এড়াতে কাঁথি থানার তরফে শুভেন্দুকে হাওড়ায় যেতে ‘নিষেধ’ করা হয়। এমনকী চিঠিও দেওয়া পুলিশের তরফে। যদিও সেসবের তোয়াক্কা না করে শুভেন্দুর কনভয় হাওড়ার অভিমুখে এগোতেই সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ নিজের জেলাতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দুর। এদিকে ইতিমধ্য়েই পুলিশের এই ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার চর্চা। 

এদিকে এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। শুভেন্দুকে কেন আটকানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়াও জানতে চেয়েছেন তিনি। কেন রাজ্যে অষোষিত জরুরি অবস্থা? প্রশ্ন তুলে এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা পদক্ষেপ করার ‘নির্দেশও’ দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে। এদিকে এর আগেও রাজ্য়ের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিবকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, তাতে সাড়া দেননি হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এমতাবস্থায়, এবার ফের রাজ্যপালের দেওয়া ‘নির্দেশে’ তিনি কী পদক্ষেপ করেন তা দেখার। 

গতকাল রাত থেকেই পুলিশি গতিবিধি বাড়তে থাকে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। রাত ২টোর পর থেকেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ওই এলাকা। যা  নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে রবিবার সকালে কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরিয়ে ময়নায় অশোক দিন্দার বাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানে বৈঠক শেষে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল কোলাঘাটে। কিন্তু, কোলাঘাটে যাওয়ার পথে তমলুকের রাধামনিতে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। যা নিয়েই তীব্র চাপান-উতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে শুভেন্দুর পথ আটকানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছালা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না মঞ্চ থেকে বলেন, “যদি সত্যিই নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আমাদের বিরোধী দলনেতাকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের ভয় কীসের? কেন তাঁরা  আটকাচ্ছেন?” অবশেষে এদিন দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ পুলিশি ঘেরাটোপ থেকে মুক্ত হন শুভেন্দু। প্রায় ২ ঘণ্টা পর তাঁর পথ ছাড়ে পুলিশ। পুলিশি প্রহরার মধ্যেই তাঁর কনভয় এগিয়ে যায় কলকাতার দিকে।