Sukanta Majumdar: ‘কীসের ভয়? কেন আটকানো হচ্ছে?’, শুভেন্দুকে আটকানোয় ক্ষুব্ধ সুকান্ত

Sukanta Majumdar: সুকান্ত মজুমদার বলেন, "যদি সত্যিই নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আমাদের বিরোধী দলনেতাকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের ভয় কীসের? কেন তাঁরা আটকাচ্ছেন?"

Sukanta Majumdar: 'কীসের ভয়? কেন আটকানো হচ্ছে?', শুভেন্দুকে আটকানোয় ক্ষুব্ধ সুকান্ত
সুকান্ত মজুমদার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2022 | 3:34 PM

কলকাতা : শনিবার হাওড়ায় যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (West Bengal BJP Chief Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে। এরপর রবিবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন তিনি। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রবিবার হাওড়ার পথে বাধা দেওয়া হয়। এই নিয়েই এবার ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত মজুমদার। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে তিনি বললেন, “পুলিশ বার বার চাইছে, সত্যটা কোনওভাবে যাতে উঠে না আসে। তৃণমূলের এক রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বলছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু যদি সত্যিই নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আমাদের বিরোধী দলনেতাকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের ভয় কীসের? কেন তাঁরা আটকাচ্ছেন?”

শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “তিনি (শুভেন্দু) কলকাতায় আসতে চাইছেন। এখানেও আসতে মানা। কলকাতাতেও কি ১৪৪ ধারা চলছে নাকি? গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করে মারার জন্য যা করার, এই সরকার তাই করছে।” উল্লেখ্য, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে রবিবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, “গোটা রাজ্য জুড়ে গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়। এই সত্যকে চাপা দেওয়ার জন্য গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছেন।” রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “এখানে গণতন্ত্র নেই। এখানে আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে। আমরা বলছি না। আদালতের মুখে, মানবাধিকার কমিশনের মুখে সেটি শুনেছি।”

এদিকে তমলুকের রাধারানি মোড়ে পুলিশের ‘বাধা’র মুখে পড়ে শুভেন্দু অধিকারী ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। ভিডিয়ো কলে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। গতকাল সুকান্ত মজুমদারের পথ আটকানো এবং তারপর আজ শুভেন্দু অধিকারীর পথ আটকানো, পর পর এমন ঘটনায় রাজ্য বিজেপি শিবির যে বেশ বিরক্ত তা বঙ্গ বিজেপির সভাপতির কথা থেকেই স্পষ্ট।