Shuvendu Adhikari: হাওড়ার পথে শুভেন্দুকে বাধা, তমলুকে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা
Shuvendu Adhikari: সুকান্তর সুকান্ত মজুদারের পর এবার পথ আটকানো হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই তমলুকের রাধামনি মোড়ে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দুর কনভয়।
তমলুক: শনিবার হাওড়া যেতে গিয়েও যেতে পারেননি। পথ আটকে ছিল পুলিশ। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লালবাজারে। এমতাবস্থায়, রবিবার দুপুরে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথ আটকাল পুলিশ। সূত্রের খবর, গতকাল রাত থেকেই পুলিশি গতিবিধি বাড়তে থাকে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। রাত ২টোর পর থেকেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ওই এলাকা। যা নিয়েও বিরক্ত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই তমলুকের রাধামনি মোড়ে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দুর কনভয়। যা নিয়ে চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে হাওড়ায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তাই সেখানে না যাওয়ার জন্য শুভেন্দুকে চিঠি পাঠিয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের চিঠি খারিজ করে তিনি রওনা হন হাওড়ার উদ্দেশ্যে।
এদিকে বাধা পেতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তমলুকের রাধামনি মোড়ে তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। শুভেন্দুকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। শুভেন্দুর দাবি, আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল তাঁর এদিনের কর্মসূচি। এমনকী কর্মসূচির ব্যাপারে তিনি খোদ রাজ্যপাল এমনকী মুখ্যসচিবকেও জানিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু, তারপরেও কেন তাঁর পথ আটকাচ্ছে পুলিশ? যেখানে পুলিশের আসলে কাজ করার কথা সেখানে কাজ না করে অযথা কেন তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেউ প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এদিকে এদিন সকালে কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরিয়ে ময়নায় অশোক দিন্দার বাড়িতে যান। সেখানে বৈঠক সেরে তিনি পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি কোলাঘাটে যাবেন। সেখানে যাওরা পথেই রাধামনিতে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু জানিয়েছেন, পুলিশ যদি শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতে না দেয় তাহলে তিনি ফিরে যাবেন কলকাতায়। সেখানে তাঁর একটি অন্য কর্মসূচি রয়েছে, তাতেই যোগ দেবেন তিনি। অন্যদিকে গত রাত থেকে বাড়ির সামনে লাগাতার পুলিশি প্রহরা বাড়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চাঁচাছালো ভাষায় আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “লজ্জা থাকা উচিত পুলিশমন্ত্রীর। এত ইগো কেন? কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেনা চাওয়া হোক।”