Governor-TMC: রাত পোহালেই ভোট, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ তৃণমূলের

Governor-TMC: ভোটপর্বে কোচবিহার উত্তপ্ত হয়ে ওঠার ঘটনা অতীতে রয়েছে। এর মধ্যে শীতলকুচি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটপর্বে সেখানকার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য কোচবিহারে থাকতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল।

Governor-TMC: রাত পোহালেই ভোট, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ তৃণমূলের
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2024 | 1:13 PM

কলকাতা: এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। লোকসভা ভোটে বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপের অভিযোগ। রাত পোহালেই রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে শাসকদলের নালিশ ঘিরে আরও একবার চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। তৃণমূলের অভিযোগ, যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট, সেখানে বেআইনিভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। তাঁকে যেন অবিলম্বে আটকানো হয়, এই আর্জি জানিয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল।

১৯ তারিখ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার- এই তিন কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। বিধি অনুযায়ী ১৭ তারিখ থেকে ওই তিন এলাকায় ‘সাইলেন্ট পিরিয়ড’ শুরু হয়ে যায়। তখন ওই এলাকায় কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত থাকে। রাজ্যপাল ভোট চলাকালীন সরেজমিনে কোচবিহারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ভোট চলাকালীন তিনি নিজে কোচবিহারে থাকবেন। কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। ভোটপর্বে কোচবিহার উত্তপ্ত হয়ে ওঠার ঘটনা অতীতে রয়েছে। এর মধ্যে শীতলকুচি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটপর্বে সেখানকার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য কোচবিহারে থাকতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কমিশন রাজ্যপালকে অনুমতি না দেওয়ায়, তিনি আপাতত যাননি।

এই বিষয়টিকেই ইস্যু করেছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের কাছে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে রাজ্যপালকে ‘পলিটিক্যালি এক্সপোসড’ বলেও উল্লেখ করেছে শাসকদল। দেখা গিয়েছে, এর আগেও ভোটপর্ব চলাকালীন রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদিও কমিশনের বাধায় তিনি যেতে পারেননি।

রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ভোটপর্ব চলাকালীনও তিনি ওই এলাকায় যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে শাসকদলের বক্তব্য, যেহেতু ভোটের সময়ে আইন শৃঙ্খলার গোটা বিষয়টিই নির্বাচন কমিশনের আওতায়। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল।