Gun Shot: বন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, পায়ের ফাঁকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র
Body Recovered: এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পশ্চিম বন্দর থানায় খবর দেওয়া হয়। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটি উপুড় হয়ে পড়া ছিল। দুই পায়ের ফাঁকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। কিন্তু দেহটি এলাকার কারোর নয় বলেই মনে করছে পুলিশ।

কলকাতা: উৎসবের মরশুমে খাস কলকাতায় পরপর দুদিন গুলিচালনার ঘটনা। চারু মার্কেটের পর বন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার। দুই পায়ের ফাঁকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গুলি করে খুনের পর দেহ ফেলে রেখে পালানো হয়েছে। সোমবার সাতসকালে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায় ডিসি পোর্টের অফিসের অদূরেই একটি দেহ উদ্ধার হয়।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পশ্চিম বন্দর থানায় খবর দেওয়া হয়। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটি উপুড় হয়ে পড়া ছিল। দুই পায়ের ফাঁকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। কিন্তু দেহটি এলাকার কারোর নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই তাঁকে চিনতে পারছেন না।
পুলিশ মনে করছে, বাইরেই কোথাও খুন করে দেহ এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আদৌ বুলেট ইনজুরিতেই খুন, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ। মাথা থেকেই রক্ত ঝরতে দেখা গিয়েছিল। সেই রক্ত শুকিয়ে জমাট বাঁধা ছিল।
উল্লেখ্য, মহালয়ার সকালে চারু মার্কেট এলাকায় একটি জিম গুলি চলে। থানা থেকে ওই জিমের দূরত্ব ২৮০ মিটারের মধ্যে। অভিযোগ, মহালয়ার সকালে ওই জিমেই এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ২টি বাইকে চার জন আসে ওই জিমে। রেনকোট ও হেলমেট করে দোতলার জিমে ঢোকে দুই দুষ্কৃতী। রিসেপশনে গিয়ে জিমের মালিক জয় কামদারের খোঁজ করেন। তারপর দু রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। প্রাণে রক্ষা পান ওই জিম মালিক। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় বারবার কলকাতার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
