Haridevpur: কলকাতার মধ্যেই এক টুকরো গ্রাম, প্রতিটি গলিতে চলছে নৌকা
Haridevpur Water Logging: জল পচে গিয়েছে, জলের মধ্যে জোঁক-সহ, বিষাক্ত সাপ ঘুরছে, ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সাপ। আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করছে মানুষজন। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, রাস্তা নেই, নেই ঠিক মতো আলোর ব্যবস্থা সন্ধ্যা বা রাত হলেই গৃহবন্দি হয়ে যেতে হয়।

কলকাতা: ২০২৫ সাল নজিরবিহীন! কলকাতা পৌরসভার ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড প্রতিটি গলিতে চলছে নৌকা। দক্ষিণ শহর তলির হরিদেবপুর থানার ২২ বিঘা এলাকায় ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের বাস। এখানে দীর্ঘ ৬ মাস জল রয়েছে গলিতে, রাস্তার ওপরে জল থাকে ৪ মাস। জলযন্ত্র ভোগান্তি জেরবার স্থানীয় বাসিন্দারা, তাঁদের অভিযোগ যে এই জল যন্ত্রণার কারণে চর্মরোগও হচ্ছে ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জল পচে গিয়েছে, জলের মধ্যে জোঁক-সহ, বিষাক্ত সাপ ঘুরছে, ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সাপ। আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করছে মানুষজন। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, রাস্তা নেই, নেই ঠিক মতো আলোর ব্যবস্থা সন্ধ্যা বা রাত হলেই গৃহবন্দি হয়ে যেতে হয়। কচি কাচারা ঠিক মতো স্কুল ও পড়তে যেতে পারচ্ছে না।
স্থানীয় কাউন্সিলরকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েও সুরাহা হয়নি, শুধু আশ্বাস মিলেছে। ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃচ্ছিনা বিশ্বাসের বক্তব্য, এটি একটি নীচু জায়গা। বহু বছর ধরে এখানে জল জমে। তিনি বলেন, “আমরা পাম্প চালিয়ে জল নিকাশির চেষ্টা করছি কিন্তু পাশে চরিয়াল খাল বৃষ্টি হওয়ার জন্য পুরোপুরি ভর্তি, তাই জল নামানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পাড়ার সমাধানে সোনার বাংলা এলাকার ড্রেনেজ এবং রাস্তার ব্যবস্থা নথিভুক্ত হয়েছে এই এলাকায় ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরি করা সময়সাপেক্ষ, তবে ধীরে ধীরে করা হবে।”
কিন্তু কলকাতার মধ্যেই যে এই এলাকা রয়েছে, তা কি পৌরসভার নজরে পড়ছে না, এি নিয়ে পৌর আধিকারিকরাও কেন কোনও পদক্ষেপ করছেন না, কেনই বা সমস্যা সমাধানের কোনও রাস্তা বার করা যাচ্ছে না? এই সব প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা।
