AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিনব শাস্তি, দুঃস্থদের ভরপেট খাওয়াল হাসপাতাল

Health Commission: অনভিপ্রেত আচরণের বিচার হল। আবার রোগী-স্বাস্থ্যকর্মী সম্পর্কের বন্ধন‌ও অটুট র‌ইল। বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের আচরণে ব্যথিত হয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক রোগী।

রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিনব শাস্তি, দুঃস্থদের ভরপেট খাওয়াল হাসপাতাল
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2021 | 8:09 PM
Share

কলকাতা: অনভিপ্রেত আচরণের বিচার হল। আবার রোগী-স্বাস্থ্যকর্মী সম্পর্কের বন্ধন‌ও অটুট র‌ইল। বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের আচরণে ব্যথিত হয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রোগী। প্রতিকারে একদিন দুঃস্থদের ভাল খাওয়ানোর রায় দেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রায়ের হাত ধরেই দৃষ্টান্ত তৈরি হল মঙ্গলবার।

রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল কলকাতারল এক বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের বিরুদ্ধে। বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রোগীর পরিজনেরা। সেই মামলায় অভিনব শাস্তি দিল স্বাস্থ্য কমিশন। আর কমিশনের নির্দেশ মেনে একবেলা দুঃস্থদের ভরপেট খাওয়াল হাসপাতাল।

একদিন ওই হাসপাতালকে দুঃস্থদের খাবার খাওয়ানোর আয়োজন করতে হবে বলে জানিয়েছিল কমিশন। একই সঙ্গে এও নির্দেশ যে, ওই খাবার পরিবেশন করবেন অভিযুক্ত নার্সরাই। সেই নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার মিন্টো পার্ক লাগোয়া লিটল সিস্টার্স অব পুওর নামে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের আবাসিকদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টো পার্কে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের আচরণে ব্যথিত হয়ে স্বাস্থ্য কমিশনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন কস্তুরী ঘোষ। রোগিণীর বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে নার্সরা যাতে আর‌ও সংবেদনশীল হন, সে জন্য একদিন দুঃস্থদের একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার ছিল সেই দিন। মিন্টো পার্কে অবস্থিত ‘লিটল সিস্টার্স অব পুওরে’র ১৭০ জন আবাসিককে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেনুতে ছিল রাজকীয় বন্দোবস্ত। ভেজিটেবল কাটলেট, পোলাও, ডাল, বোনলেস ফিস কারি, মুরগির মাংস, পনির, ভেজিটেবল কারি, দ‌ই, পায়েস, কী নেই!

এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগকারিণী নিজেও। বেসরকারি হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতেও দেখা যায়। কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

নার্সদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “আপনারা কেউ ভাববেন না আমি আপনাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কমপ্লেন করেছি।” প্রতিক্রিয়ায় নার্সরাও বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন তাঁরা কিছু মনে করেননি। কস্তুরী দেবীর কথায়, অতি মহামারির সময় চিকিৎসক-নার্সরা যে অসাধ্য করে চলেছেন তা নিয়ে কোন‌ও সন্দেহ নেই। কিন্তু আর একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত তাঁদের। আরও পড়ুন: ‘পেটে ভাত নেই, খেলা হবে কোন মুখে?’ ১২৫ কোটির অনুদান নিয়ে মমতাকে রুদ্র-তোপ