AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja in Kolkata: মাঝরাতে হানা দিয়েছিল বর্ষাসুর! গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান, সর্বত্রই এখন শুধু বিষাদের ছায়া

Rain in Kolkata: এদিকে গত মাসের শেষ, চলতি মাসের শুরু থেকে হাতিবাগান হোক বা ধর্মতলা, গড়িয়াহাট সর্বত্রই কেনাকাটার ধুম অনেকটাই বেড়ে যায়। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই, কিন্তু তাই বলে যে এক্কেবারে বন্যা পরিস্থিতি হবে তা আঁচ করতে পারেননি কেউই।

Durga Puja in Kolkata: মাঝরাতে হানা দিয়েছিল বর্ষাসুর! গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান, সর্বত্রই এখন শুধু বিষাদের ছায়া
প্রতীকী ছবি Image Credit: Debajyoti Chakraborty/NurPhoto via Getty Images
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2025 | 8:15 PM
Share

কলকাতা: শহরবাসী বলছে এ বৃষ্টি জীবনে দেখিনি। তীব্র উৎকণ্ঠার মধ্যে বারবার মানুষকে সাবধানে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বললেন, “আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে পারি না। সাধারণ বৃষ্টি হলে কলকাতা জল জমার কথা নয়। কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা অস্বাভাবিক।” বর্তমানে সঙ্কট অনেকটাই কেটেছে, তারপর কেটে গিয়েছে গোটা একটা দিন। কিন্তু মাথায় হাত শহরের ব্যবসায়ীদের। প্রবল বৃষ্টিতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। 

পুজোর ঠিক মুখে সর্বত্রই ধরা পড়েছে উদ্বেগের ছবিটা। সকলের মুখে একটাই কথা, এমন মেঘভাঙা বৃষ্টি আগে দেখিনি। এদিকে গত মাসের শেষ, চলতি মাসের শুরু থেকে হাতিবাগান হোক বা ধর্মতলা, গড়িয়াহাট সর্বত্রই কেনাকাটার ধুম অনেকটাই বেড়ে যায়। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই, কিন্তু তাই বলে যে এক্কেবারে বন্যা পরিস্থিতি হবে তা আঁচ করতে পারেননি কেউ। সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে থেকে কোনও প্রস্তুতি তো ছিল না। বৃষ্টি রোজই হয়, কিন্তু এক্কেবারে যে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তা কে জানত! 

‘সব আনন্দ মাটি করছে বৃষ্টি’

সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাস্তার ধারের ছোট ব্যবসায়ীরা। জাম-কাপড় থেকে সাজ-সজ্জার সরঞ্জাম, বৃষ্টির হানায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সব কিছুই। অবস্থা এমনই যে ক্ষয়ক্ষতির অঙ্কটা মেলানোও রীতিমতো চাপের হয়ে গিয়েছে। হাতিবাগান অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বলছেন যেভাবে হাতিবাগান মার্কেটে জল ঢুকেছে এরকম আগে কখনও হয়নি। একইসঙ্গে তাঁদের আক্ষেপ, অনেকদিন থেকে তাঁদের ব্যবসায় কামড় বসিয়ছে অনলাইনের কেনাকাটা। এবার বৃষ্টির হানা যেন এক্কেবারে মরার উপর খাড়ার ঘা। 

এদিন বৃষ্টি সেইবাবে হয়নি। বাজারও খোলা ছিল। কিন্তু ভিড়টা তেমন জমেনি হাতিবাগান মার্কেটে। এদিকে দুর্যোগ উপেক্ষা করেই আবার প্যান্ডেল হপিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন অন্য বছর পুজোর চার-পাঁচদিন আগের এই সময়টাতেও অনেক ভিড় থাকে মার্কেটে। কিন্তু এখন ভিড়ে ভাটা পড়ার অন্যতম কারণ বৃষ্টি। ক্রেতারাও অনেকে শেষের দিকেই বাজার করেন। দ্বিতীয়-তৃতীয়া-চতুর্থীও পর্যন্ত ভালই ভিড় থাকে বাজারে। কিন্তু এবার যেন ছবিটা অনেকটাই আলাদা বর্ষাসুরের কারণে।