Mithun Chakraborty : বিজেপি মুসলিম বিরোধী নয়: মিঠুন
Mithun Chakraborty : “উত্তরপ্রদেশে বেশি আসন পাওয়া গেল কী করে? কারণ মুসলিমরা ভোট দিয়েছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন আসল সত্য়ি। বুঝতে পেরেছেন যে তাঁদের মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল। মিথ্যা গল্প শোনানো হয়েছিল।” স্পষ্ট বার্তা মিঠুন চক্রবর্তীর।
কলকাতা : সিএএ (CAA) থেকে এনআরসি (NRC)। বিগত কয়েক বছরে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছে বিরোধীরা। আওয়াজ উঠেছে দেশের সংখ্যালঘু শিবিরের মানুষদের তরফ থেকেও। এই অবস্থায় সংখ্যালঘু মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন। মোদীর বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে বলিউড অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বললেন, বিজেপি মুসলিম বিরোধী নয়। তাঁর কথায়, “বিজেপি কখনওই মুসলিম বিরোধী নয়। সেটাই বোঝাতে চাইছি সবাইকে।” প্রসঙ্গত, ভোটের আশা না করে মুসলিম সমাজের প্রতিটা বর্গের মানুষের কাছে পৌঁছে যান। পৌঁছাতে হবে শিক্ষিত মুসলিমদের (Muslim) কাছেও। বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে পদ্ম শিবিরের কর্মীদের উদ্দেশে একদিন আগে এ বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)।
এরইমধ্যে পঞ্চায়েত ভোটের রণদামামা বেজে গিয়েছে বাংলায়। চলছে কাউন্টডাউন। দিনক্ষণও ঘোষণা হয়ে যাবে যে কোনও সময়। ভোটের ময়দানে বাজিমাত করতে এখন থেকেই গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন শাসক থেকে বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মিঠুনও ঘুরছেন বাংলার গ্রামে গ্রামে। জোরকদমে চলছে জনসংযোগের কাজ। দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি। রাজ্য বিজেপিতে কার্যত একটা বড় মুখ হয়ে উঠেছেন মিঠুন। থাকছেন প্রচারের আলোয়। দিচ্ছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি। এরইমধ্যে যেন প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে হাঁটতে দেখা গেল তাঁকেও। এদিন বাসন্তীতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “বিজেপি কখনওই মুসলিম বিরোধী নয়। সেটাই বোঝাতে চাইছি সবাইকে। মুসলমান ভাই-বোনদের এটা বোঝাতে চাইছি। যদি তাই হত তাহলে গুজরাটে এত আসনে বিজেপি কী করে জিতে এল! এত সিটে জিততে হলে আপনাকে মুসলমানদের ভোট পেতেই হবে। তার মানে মুসলমানরা ভোট দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বেশি আসন পাওয়া গেল কী করে। কারণ মুসলিমরা ভোট দিয়েছে। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন আসল সত্য়ি। বুঝতে পেরেছেন যে তাঁদের মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল। মিথ্যা গল্প শোনানো হয়েছিল।”
একইসঙ্গে আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়েও এদিন ফের একবার শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। তবে বিজেপি এলেই রাতারাতি বদলে যাবে ছবিটা। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না লোকসভা ভোট অবধি। পঞ্চায়েতই যথেষ্ট। জাতি-ধর্ম-দলমত নির্বিশেষে সকলেই পাবেন পাকা ঘর। এদিন তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে এত দুর্নীতি হয়েছে। খালি তৃণমূলের নিজের লোকরাই ঘর পেয়েছে আর কেউ পায়নি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি যদি বেঁচে থাকি যাঁদের কাঁচা বাড়ি আছে তাঁদের পাকা বাড়ি করে দেব। এর জন্য আপনি হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান যে ধর্মেরই হোন না কেন আপনি ঘর পাবেন। এমমকী এর জন্য আপনাকে বিজেপি হতে হবে এরকমও কোনও ব্যাপার নেই। আপনি তৃণমূল হলেও পাবেন, কংগ্রেস হলেও পাবেন, আপনি কমিউনিস্ট হলেও পাবেন। বিজেপি পাওয়ারে এলেই এটা সম্ভব হবে। সেই জন্য বলছি আপনাকে লোকসভা অবধি যেতে হবে না। খালি পঞ্চায়েত অবধি গেলেই হবে। তারপর দেখুন না।” একইসঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েতে জয়ের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। সন্ত্রাসমুক্ত ভোট হলে ৭০ শতাংশ ভোটই যাবে পদ্ম শিবিরের খাতায়। এদিন এই জোরালো দাবিও করতে দেখা গিয়েছে ‘তুফান’ মিঠুনকে ।