গত বুধবার হস্টেল থেকে পড়ে মারা যায় বিএ প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। তার মৃত্যু ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। র্যাগিংয়ের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই নিহত ছাত্রের বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে সময় যত এগোচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের তীব্র অপরাধপ্রবণতার অভিযোগ যুক্ত হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার ছাত্রের। সেই ছাত্রকে মানসিক, শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে হস্টেলের ‘সিনিয়র’ ও ‘প্রাক্তনী’দের একাংশের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ সে সব অভিযোগ। তদন্ত চলছে, হয়েছে তদন্ত কমিটিও। মামলা থেকে চিঠি চাপাটি বাদ নেই কিছুই। তবু প্রশ্ন, অপরাধ রোখার কড়া দাওয়াই এখনও তো দেখা যাচ্ছে না?
অন্ধ্রপ্রদেশ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ হাজার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।
The Prime Minister has announced an ex-gratia of Rs. 2 lakh from the PMNRF for the next of kin of each deceased due to the train derailment between Alamanda and Kantakapalle section. The injured would be given Rs. 50,000. https://t.co/K9c2cRsePG
— PMO India (@PMOIndia) October 29, 2023
এই দুর্ঘটনার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা শুরু। হাওড়া – চেন্নাই লাইনে ট্রেন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বেশ কিছু ট্রেন টাইম পরিবর্তন। যার মধ্যে রয়েছে,
১২৮৬৩ হাওড়া বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস
১২৮৬৭ হাওড়া পন্ডিচেরি এক্সপ্রেস
১২৮৩৯ হাওড়া MGR চেন্নাই মেইল
২২৬৪২ হাওড়া তিরুবনন্তপুরম এক্সপ্রেস।
এছাড়া এই শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল হতে পারে বলে রেল সূৃত্রে খবর।
দত্তপুকুরের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৬, ৩০৮, ৩০৪, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা ছিল।ও পশ্চিমবঙ্গ দমকল আইনে মামলা হয়েছে।
নতুন করে উত্তপ্ত যাদবপুর। ভারতীয় যুব মোর্চা ও এসএফআইয়ের মধ্যে ঝামেলা বাধে বৃহস্পতিবার বিকেলে। ভারতীয় যুব মোর্চার ধরনামঞ্চে এদিন শুভেন্দু অধিকারী যান। শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে থেকে কয়েকজন পড়ুয়া কালো পতাকা দেখায়। আরএসএফ অর্থাৎ রেভোলিউশনারি স্টুডেন্ট ফ্রন্ট (নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠন) এই কালো পতাকা দেখায় বলে বিজেপিপন্থীদের দাবি। এ নিয়েই ঝামেলা।
সন্ধ্যা থেকে সকাল অর্থাৎ রাত ৮ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও প্রয়োজনে কোনও পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে গেটে ওই পড়ুয়ার নাম ও সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। যে নিয়ম JNU তে আছে, সেই নিয়ম চালু হল যাদবপুরে। এক্স আর্মি সার্ভিসম্যানরা থাকবেন ক্যাম্পাসের নজরদারিতে গেটে।
যাদবপুরের ঘটনা খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল রাজ্য। দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট দেবে উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে।
বিস্তারিত পড়ুন: যাদবপুর কতটা ‘আতঙ্কপুর’? খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠাচ্ছে রাজ্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করেছিল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন। ছাত্রমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ১৪ অগস্ট কমিশন শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে উত্তর দিয়েছে তাতে খুশি নয় কমিশন। কমিশন মনে করছে, এই জবাব ঘটনার সমস্ত দায় এড়ানোর চেষ্টা।
লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েক রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও জুটার সাধারণ সম্পাদককে। আদৌ সারা বছর কাজ করে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড? কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন পুলিশের। ঘটনার দিন পুলিশ যাতে হস্টেলে ঢুকতে না পারে তার জন্য গেট বন্ধের অভিযোগ ওঠে। সেই গেট আটকানোর পরিকল্পনা কার? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রয়োজনে হস্টেল সুপারকে ডাকতে পারেন তদন্তকারীরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা বুধবার গ্রেফতার আরও ৬ জন। এদের মধ্যে ধৃত সপ্তক কামিল্যার ঘর থেকে ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে কী তথ্য আছে জানতে চায় তদন্তকারীরা।
কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষের পরেও হস্টেলে থেকে গিয়েছিল গ্রেফতার হওয়া যুবক সুমন নস্কর? কী বলছেন সুমনের দিদি?
যাদবপুরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গ্রেফতার হওয়া এক পড়ুয়া জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এসেছে এবং তাঁকে রেসিডেনশিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে তৃণমূলের এক নেতা।
শুরু হতে চলেছে যাদবপুরের কোর্ট বৈঠক। রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের সভাপতিত্বে শুরু হতে চলেছে এই বৈঠক। সাড়ে ৬টা নাগাদ রাজভবনে ঢুকলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জুর বসু।
যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে এ এদিনই ক্যাম্পাসে একটি জেনারেল বডি মিটিংয়ের ডাক দেওয়া হয়। অরবিন্দ ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। এরইমধ্যে সেখানে আসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। টিএমসিপির সদস্যদের দেখেই স্লোগান তুলতে থাকে বাম ছাত্র সংগঠনের লোকজন। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে টিএমসিপিও।
তুমুল উত্তেজনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। AISA-TMCP এর মধ্য ব্যাপক সংঘর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবন অরবিন্দ ভবনের সামনে। সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূলের এক ছাত্র আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বেরিয়ে এসে ব্রাত্য জানান, ছাত্রের পরিবার তৃণমূল সুপ্রিমোরদ ওপর আস্থা রেখেছেন।
বুধবার যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাড়িতে পৌঁছলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ পাঁচ সদস্য পৌঁছেছেন নদিয়ার বগুলার বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। কেন কোনও সিসিটিভি ছিল না হস্টেলে? একজন স্টুডেন্ট কীভাবে সবার চোখ এড়িয়ে আর একজনকে র্যাগিং করছে? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই মামলায়। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বুধবার মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন প্রাক্তন ও তিনজন বর্তমান পড়ুয়া। সব মিলিয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যাদবপুর-কাণ্ডে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে দুজনকে। নজরে আছেন বেশ কয়েকজন। এদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
বিস্তারিত পড়ুন: বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি, যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার ৪
বুধবার থানায় তলব করা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে। এখনও অনেকগুলো বিষয়ে কোনও উত্তর নেই পুলিশের কাছে। কেন হস্টেলে সিসিটিভি ছিল না? কর্তৃপক্ষ কি কোনওদিন সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিল? কারা বাধা দিয়েছিল? প্রাক্তন ছাত্ররা কীভাবে হস্টেলে থাকার অনুমতি পেল? এই বিষয়গুলো জানতে চায় পুলিশ।
যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে সোমবার মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বামেদের বিঁধেছেন তিনি। আর এরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া বাম শিবিরের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জেনারেল বডির বৈঠক চলাকালীন তুলকালাম কাণ্ড। এসএফআই ও ডাব্লুটিআই-এর মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। একজন এসএফআই নেতা আক্রান্তও হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিস্তারিত পড়ুন: র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে বৈঠক চলাকালীন উত্তপ্ত যাদবপুর, আক্রান্ত SFI নেতা
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, নোটিস দেওয়া হচ্ছে হস্টেলে। ডিন অব স্টুডেন্টস-এর নামে নোটিস যাবে। যাঁরা পাশ করে গিয়েছেন, তাঁদের কেউ হস্টেলে থাকলে তিনদিনের মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে। বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবার হস্টেলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে।
যাদবপুরে ঘটনায় নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের হল যাদবপুর থানায়। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ পৌঁছে প্রথমে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। গেট তালাবন্ধ ছিল। পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। বলেন, “আমরা শোকস্তব্ধ, মর্মাহত। বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজকে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক হয়েছে। ইউজিসির নিয়ম মেনে মিটিং হয়েছে। প্রথমবর্ষের ছাত্রদের অন্য হস্টেলে রাখব, আজকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল বলেন, “এই ঘটনা আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া জয়েন্ট সিপি ক্রাইম এবং ডিসি এসএসডি বিশেষ ভাবে দেখছেন। পকসো আইনের ধারা যুক্ত করা যাবে কি না, সেটা আমরা আইনগতভাবে খতিয়ে দেখছি।”
যাদবপুরকাণ্ডে তিনজন ধৃত। এরমধ্যে আছেন দীপশেখর দত্ত নামে অর্থনীতির এক ছাত্র। সূত্রের খবর, ভাইরাল চিঠি দীপশেখরের লেখা। বিস্তারিত পড়ুন: ভাইরাল চিঠি তাঁরই লেখা, পুলিশি জেরায় স্বীকার দীপশেখরের: সূত্র
তিন পড়ুয়ার ফোনে নজর তদন্তকারীদের। ফোন ফরেন্সিকে পাঠানোর ভাবনা পুলিশের। যাদবপুরকাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা। পুলিশ মনে করছে, নিগ্রহের ভিডিয়ো করা হতে পারে। পরে তা মুছেও ফেলা হতে পারে।
বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বক্তব্য, “যারা গ্রেফতার হচ্ছে তাদের সঙ্গে বোধহয় এসএফআইয়ের যোগাযোগ বেশি আছে। দাদা বলে না, বাবা বলে। সে কারণে বোধহয় হোক কলরবটা আর হচ্ছে না।”
শিক্ষামন্ত্রীর তোপ রাজভবনকে। ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজভবন থেকে কীভাবে এই বিষয়টাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা হচ্ছে সকলে জানে। আমি এখনও চাইব শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। রাজভবন ও উচ্চশিক্ষা দফতর একসঙ্গে কাজ করুক। আমাদের দিক থেকে সবসময় সহযোগিতা থাকবে। তবে স্বেচ্ছাচারিতা কিন্তু বারবার এ ধরনের ঘটনার জন্ম দেবে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন তৎপর। প্রশাসনিক স্তরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিহত ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউজিসি আসতেই পারে। উচ্চশিক্ষা দফতরকে যেভাবে বারবার বাইপাস করা হচ্ছে তা দিকে দিকে এরকম অগ্নিস্তূপের জন্ম দিচ্ছে।”
সোমবার পথে নেমেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মিছিল করেছে। তৃণমূলের কর্মী সংগঠন যাদবপুরে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে মিছিল যায় দক্ষিণাপণ পর্যন্ত। পরে তা ফিরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটে। এসএফআই এদিন এইটবি মোড়ে অবরোধ করে। এক ঘণ্টা পর তা ওঠে।
ছাত্রমৃত্য়ুর ৫ দিন পার। অবশেষে ক্যাম্পাসে ঢুকলের রেজিস্ট্রার। কান্নাকাটি করলেন, অপরাধীদের যোগ্য সাজার কথাও বললেন স্নেহমঞ্জু বসু। ছাত্রমৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য। সেখানে এতদিন পর তাঁর ক্যাম্পাসে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁর দাবি, তিনি অসুস্থ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। সেই জায়গায় জয়েন্ট রেজিস্ট্রার, অ্যাসিসট্যান্ট রেজিস্ট্রারদের দায়িত্ব দেওয়া ছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেদিন এই ঘটনা ঘটে, পরদিন জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ছিলেন। সহউপাচার্য দরকারে দিল্লি বেরিয়ে যান। এদিকে উপাচার্যও নেই। প্রায় ৫দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উচ্চ আধিকারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না। যেহেতু রেজিস্ট্রারের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, প্রশ্ন উঠছে। এদিন উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। ছিলেন প্রোভিসি অমিতাভ দত্ত। ইউজিসির চিঠির গুঁতোয় কি সোমবার যাদবপুরে তদন্ত কমিটির বৈঠক, উঠছে সে প্রশ্নও।
অন্ধকার হস্টেল থেকে আলোতে ফেরানোর চেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বেশ কিছু লোক টিউব লাইট নিয়ে এসেছে সোমবার। তাদের সঙ্গে এলেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা। কোথায় কোথায় আলো বসবে তা ঠিক করা হচ্ছে। অন্ধকার থেকে আলোকিত হবে হস্টেল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এবার পথে প্রাক্তনীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, আগামীতে যেন এরকম কোনও ঘটনা না ঘটে তার আবেদন জানাবেন।
একইসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিস পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই নোটিস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত আন্দোলনে সক্রিয়। আফসু- আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন প্রথম দিন থেকে লাগাতার আন্দোলনে। এরা SFI নিয়ন্ত্রিত। ক্যাম্পাসে আজ সোমবার থেকে সরব TMCP ও AISA। হোক কলরবে মুখ্য ভূমিকায় ছিল- DSF অর্থাৎ কালেক্টিভ বা স্বাধীন নেতারা। এই সংগঠনের সঙ্গে অন্য স্বাধীনরা যেমন FAS, WTI এখনও সেভাবে ময়দানে নামেনি। কারণ মূলত ৩ জন গ্রেফতার যারা হয়েছে, তারা স্বাধীন সংগঠন করত বলেই অভিযোগ।
এবার যাদবপুরকে শোকজ নোটিস পাঠাচ্ছে শিশুসুরক্ষা কমিশনের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ নোটিস দেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগকে সামনে রেখে। শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রশ্ন, কেন হস্টেলে কোনও সিসিটিভি নেই। কেন ইউজিসির নিয়ম মানা হয় না? কর্তৃপক্ষ সব জেনেও চুপ ছিল বলে মনে করছে কমিশন।