Jiban krishna saha: জেল থেকে বেরিয়েই উচ্চ-শিক্ষার বৈঠকে যোগ দেওয়ার আর্জি নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জীবনের
Recruitment Scam: আজ বিধানসভায় নীল পাঞ্চাবি, সাদা পাজামা পরে প্রবেশ করেন জীবনকৃষ্ণ। শরীরী ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছে জেল থেকে বেরিয়ে তিনি খুশি। গালভরা হাসি নিয়েই বিধানসভায় ঢোকেন। লবিতে থাকা বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। হাসি মুখে করমর্দন করেন সদ্য জামিনে মুক্তি মেলা তৃণমূল বিধায়ক।
কলকাতা: প্রায় একবছর জেলে বন্দি ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এরপর বুধবার নিম্ন আলিপুর আদালত থেকে জামিন নিশ্চিত করেন। গতকাল বিকেলে ছাড়া পেয়েছেন জেল থেকে। আর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সোজা চলে গেলেন বিধানসভায়।
জানা যাচ্ছে, আজ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন তিনি। জামিনের নথি নিয়ে এসেছেন বিধানসভায়। স্পিকারকে সেই নথি জমা দেবেন তৃণমূল বিধায়ক। সঙ্গে দু’টি কমিটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে যাতে যোগ দিতে পারেন,সেই আবেদনও স্পিকারকে করছেন জীবন কৃষ্ণ সাহা। মূলত, স্পিকার অনুমোদন দিলেই বিধানসভার কমিটি বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি।
নিয়মানুসারে যখন কেউ গ্রেফতার হন, তখন যেমন স্পিকারকে তদন্তকারী সংস্থা জানায়। তেমনই কেউ জামিন পেলে সেটাও জানাতে হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থার তরফে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকা বিধায়ক জামিন পেয়েছেন,তা জানানো হয়নি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তবে আজ জীবনকৃষ্ণ সুপ্রিম কোর্টের নথি স্পিকারকে জমা দিয়েছেন। আবেদন করেছেন বৈঠকে যোগ দেওয়ার। এরপর স্পিকার অনুমোদন দিলে তবেই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন তৃণমূল বিধায়ক। আজ উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক রয়েছে। এসএলসি (সাবর্ডিনেট লেজিসলেটিভ কমিটি)। উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত দুটি কমিতেই রয়েছেন তৃণমূল এই বিধায়ক।
আজ বিধানসভায় নীল পাঞ্চাবি, সাদা পাজামা পরে প্রবেশ করেন জীবনকৃষ্ণ। শরীরী ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছে জেল থেকে বেরিয়ে তিনি খুশি। গালভরা হাসি নিয়েই বিধানসভায় ঢোকেন। লবিতে থাকা বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। হাসি মুখে করমর্দন করেন সদ্য জামিনে মুক্তি মেলা তৃণমূল বিধায়ক।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তাঁর বাড়িতে যখন তল্লাশি চালানো হয়েছিল, সেই সময় বাড়ির পাঁচিল টপকে নেমে পুকুরে নিজের মোবাইল ছু়ড়ে ফেলেছিলেন বিধায়ক। পরে প্রায় ২ দিন ধরে মেশিন এনে জল বের করে সেই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এরপর এক বছর জেলেই ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। গতকাল জেল থেকে বেরিয়ে আজ সোজা বিধানসভায় হাজির তিনি।