Jyotipriya Mallick: ডায়েরির ‘এন্ট্রি’ শব্দ বালুর বিপদ চতুর্গুণ বাড়াচ্ছে! আজ পেশ আদালতে
Jyotipriya Mallick: অতি সম্প্রতি এই মামলাতে তল্লাশি চলেছে কলকাতার চান্দাক পরিবারেও। আর এর সূত্র ধরেই বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ উঠে এসেছে। অর্থাৎ বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের সময়ে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে ২০০৪ সালে দিপেশ চান্দাক গ্রেফতার হয়েছিল
কলকাতা: সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আদালতে পেশ । রবিবার মন্ত্রীকে ম্যারাথন জেরা করেছেন ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে একাধিক তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই তথ্যের নিরিখে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেরা করেছে ইডি। আপাতত ‘বালু’র রহস্যে মোড়া মেরুন ডায়েরি। আর সেই মেরুন ডায়েরির ‘এন্ট্রি’ বিপদ বাড়াচ্ছে মন্ত্রীর।
গত শনিবার টানা ২৭ ঘণ্টা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই ‘বালু’কে আরও বেশি প্যাঁচে ফেলতে তৎপর আধিকারিকরা। এদিন আদালতে সেই বিষয়টি পেশ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, নথিতে এমন কিছু তথ্য এসেছে, যেখানে বোঝা যাচ্ছে, এই রেশন দুর্নীতিতে আরও অনেক ‘লেয়ার’ রয়েছেন, প্রচুর মানুষ বিভিন্ন ভাবে যুক্ত।
সেই প্রসঙ্গে বলতেই হচ্ছে, মন্ত্রীর নাম লেখা মেরুন ডায়েরি তাঁকে ভীষণ ভাবে চাপে রাখছে। তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে ডায়েরির কার্যত প্রতি পাতায় লেখা রয়েছেন ‘এন্ট্রি’ শব্দ। আর তাকে ঘিরেই রহস্য। কারণ সেই শব্দের নীচেই লেখা রয়েছে একাধিক ব্যক্তির নাম। সূত্রের খবর, ডায়েরিতে একের পর এক চাল কল, গম কল মালিকের নাম লেখা রয়েছে। নাম রয়েছে এক গুচ্ছ ব্যবসায়ীর।
বনগাঁর চাল কল মালিক ‘সাহা ব্রাদার্সের’ নামও মিলেছে ডায়েরিতে। ডায়েরিতে পাওয়া নাম ধরে ব্যবসায়ীদের হাল হকিকত জানছেন গোয়েন্দারা। নাম রয়েছে রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরদেরও।
এদিন মন্ত্রীকে আদালতে পেশ করানোর সময়ে এই সব নথির কথা উল্লেখ করবেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে আরও সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিকে অবশ্য আগেই মন্ত্রী বলছেন, দল পাশে রয়েছে, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। আজ কোন বোমা ফাটাবেন জ্যোতিপ্রিয়? নজর সেদিকে।