Kalighat Kaku: ‘কাকু’ থেকে কীভাবে ‘কালীঘাটের কাকু’? ক্লুই পাচ্ছে না বেহালার সুজয় ভদ্র
Kalighat Kaku: আপনি কি 'কালীঘাটের কাকু'? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কী করে বলি বলুন তো, বেহালায় বাড়ি, বেহালাতেই জন্ম। কর্মসূত্রেও আমি যাই নিউ আলিপুরে। কালীঘাটে পা রাখি না। তো আপনারাই যদি কালীঘাটের কাকু বানান, তাহলে আমি কালীঘাটের কাকু।"
কলকাতা: তিনি আদতে বেহালার ‘বাবু’। পেল্লাই তাঁর বাড়ি, নাম রেখেছেন রাধারানি। কিন্তু এখন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighat Kaku) হিসাবেই ফোকাসে। বেহালার বাবু কীভাবে কালীঘাটের কাকু হলেন, তাহলে সামনে চলে আসছে বেশ কয়েকটি ‘ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্টর’। TV9 বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় ভদ্রের বেহালার বাড়িতে। আপনি কি ‘কালীঘাটের কাকু’? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কী করে বলি বলুন তো, বেহালায় বাড়ি, বেহালাতেই জন্ম। কর্মসূত্রেও আমি যাই নিউ আলিপুরে। কালীঘাটে পা রাখি না। তো আপনারাই যদি কালীঘাটের কাকু বানান, তাহলে আমি কালীঘাটের কাকু।” পরের প্রশ্ন কুন্তল ঘোষকে চেনেন? তাঁর সরাসরি জবাব হ্যাঁ। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ৭৭-এর নির্বাচনে সক্রিয় ছিলাম। ১৯৮২ সাল থেকে কংগ্রেস করেছি। আমি দিদির দলের একনিষ্ঠ কর্মী।” ৪৬ বছর তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক কারণেই তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি। তিনি বলেন, “কুন্তল ঘোষ আমি কাকু বলত। সবাই আমাকে কাকু বলত।” দৃঢ় গলায় তিনি বলেন, “কুন্তল বলতে পারবে না, আমার অনেক ক্ষমতা। কুন্তল কোথাও কাউকে সেটা বলেনি।”
এর আগে কয়লা মামলাতেও তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উপেন বিশ্বাস দেখিয়ে গিয়েছেন সিবিআই-এর সিস্টেম। ডট ডট ডট… যেখানে দেখিবে ছাই, ওড়াইয়া দেখ তাই..” বিরোধীরাই চক্রান্ত করছেন ইডি-সিবিআই মারফত। কয়লা মামলায় সিবিআই তাঁর কাছে দশ বছরের আর্থিক লেনদেনের কাগজ চেয়েছিল। সেটা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। কালীঘাটের কাকু আবারও বলেন, “আমি কোনওদিন কুন্তলের বাড়িতে যাইনি। কুন্তল আমার বাড়িতে এক দুবার এসেছে।” কুন্তল সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ তিনি এখন শুনছেন, আগে জানতেন না বলেও দাবি করেন। সুজয় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি আমার এমএলএ।” আপনি কি সব সত্যি বলছেন? প্রশ্ন করা হয়েছিল। ‘কালীঘাটের কাকু’র জবাব, “পাড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখুন, আমার মাও বসে আছেন, খোঁজ নিন। আমি মিথ্যা বলি না। মিথ্যা না বলতে বলতে বাকসিদ্ধ হয়ে গেছি। অকারণে মিথ্যা বলব কেন?”