Pollution in Kolkata: কালীপুজোর রাতে দেদার বাজি, দিল্লির দূষণের সঙ্গে টক্কর বাংলার
KaliPuja: কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য জানিয়েছিল, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণের নিরিখে কলকাতা এগিয়ে। এমনকী দিল্লিকেও হার মানিয়েছে। পর্ষদের নজরে ছিল বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া চত্বর। কালীপুজোর সন্ধ্যার এই পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিচ্ছে আলোর উৎসবে রাত যত বাড়ছে, বাতাসে মিশছে বারুদ-বিষও।
কলকাতা: কালীপুজোর রাত বাড়ছে। বাড়ছে বাজির দাপটও। আর সেই বাজির ধোঁয়াকে সঙ্গী করেই বিষের পরিমাণ লাফিয়ে বাড়ছে বাতাসে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, কালীপুজোর রাতে ১১টা পর্যন্ত কলকাতার মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা বালিগঞ্জের। পিএম ২.৫-এর মান মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে রাত ৮টায় ছিল ১৫০। রাত ৯টায় তা বেড়ে ৩৮০ হয়, রাত ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩২-এ। রাত ১১টায় ৪৩৮। তবে জেলার ক্ষেত্রে হাওড়ার ঘুষুড়ির ছবিটা আরও খারাপ। রাত ৮টায় যা ৩১৭ ছিল, রাত ১১টায় বড়সড় লাফ মেরে ৫০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। বেলুড়েরও একই অবস্থা। রাত ৮টায় ১৬০ ছিল, রাত ১১টায় তা ৫০০ হয়েছে। দূষণে দিল্লির সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর বাংলার।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য জানিয়েছিল, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণের নিরিখে কলকাতা এগিয়ে। এমনকী দিল্লিকেও হার মানিয়েছে। পর্ষদের নজরে ছিল বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া চত্বর। কালীপুজোর সন্ধ্যার এই পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিচ্ছে আলোর উৎসবে রাত যত বাড়ছে, বাতাসে মিশছে বারুদ-বিষও।
কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো শহরে বেশিরভাগ জায়গায় বাতাসের মান খুব খারাপ। ‘রেড জোনে’ সব শহর। বাতাসের ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ সহ্যসীমার অনেক উপরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই দূষণ কমার আশা কম। এক, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। দুই, বাতাসের গতিবেগ বেশ ধীর। এই ধরনের পরিস্থিতিতে দূষণ এমনিতেই বাড়ে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজির ধোঁয়া। সপ্তাহের শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি না নামা পর্যন্ত দূষণ দাপট দেখিয়ে যাবে, আশঙ্কা এমনই।
এবার কালীপুজোয় রাজ্যে শব্দবাজির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এতদিন যা ৯০ ডেসিবেল ছিল, এবার তা ১২৫ হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বাজির শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বুঝিয়ে দিল এই বাজি নিয়ে ‘আনন্দ’ কতটা মারাত্মক হয়ে উঠছে পরিবেশের জন্য।