Kasba Case: কলেজে অস্থায়ী চাকরির বেতনের সমস্ত টাকা ফেরাতে হবে কসবা ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে
Kasba Case: অভিযুক্তকে নিয়োগ করা হয়েছিল গভর্নিং বডির বৈঠক করে। কিন্তু গভর্নিং বডির ৮ সদস্যের মধ্যে ৪ জন মাত্র অভিযুক্তের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী , ২:৩ অনুপাতে সদস্যের সমর্থন দরকার ছিল। কিন্তু সেটি না মেনেই নিয়োগ হয় বলে জানা গিয়েছে।

কলকাতা: কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ছিলেন সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজেরই ছাত্র। তিনি সেখানে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজও করতেন। এবার অভিযুক্তকে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গভর্নিং বডির তরফ থেকে। মঙ্গলবার কলেজে বৈঠকে বসে গভর্নিং বডি। তাতেই এই সিদ্ধান্ত। যতদিন কাজ করেছে, ততদিনের বেতন ফেরাতে হবে মূল অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে নিয়োগ করা হয়েছিল গভর্নিং বডির বৈঠক করে। কিন্তু গভর্নিং বডির ৮ সদস্যের মধ্যে ৪ জন মাত্র অভিযুক্তের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী , ২:৩ অনুপাতে সদস্যের সমর্থন দরকার ছিল। কিন্তু সেটি না মেনেই নিয়োগ হয় বলে জানা গিয়েছে।
গভর্নিং বডির সদস্য শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ও মারপিট করে, ঝামেলা করে কলেজে, এগুলো জানতাম। কিন্তু এই ধরনের তা জানতাম না।”
প্রশ্ন উঠছে, মূল অভিযুক্তের সম্পর্কে একাধিক বিষয় জানতেন সকলেই। কিন্তু কেন তাঁকে কিছু বলা হত না? জানা যাচ্ছে, শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও অভিযুক্তকে নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। ২০১৯ সালের জুলাই মাসেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন কলেজেরই এক ছাত্র। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, তোলাবাজির অভিযোগ জানানো হয় চিঠিতে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্বের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি করতেন অভিযুক্ত। কলেজের নাম লেখা টিশার্ট দেওয়ার নাম করেও টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তারপরও কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
এদিকে, মূল অভিযুক্তের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে নারাজ আইনজীবীদের একাংশ। আলিপুর আদালতে মিছিলও করছেন আইনজীবীদের একাংশ।

