KMC: বেআইনি নির্মাণে ‘পয়সা খায় বিল্ডিং বিভাগ আর পুলিশ’, পুরভোটের আগের দিন বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম
Firhad Hakim: ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে মেয়রের কাছে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। তার উত্তরেই বিল্ডিং বিভাগ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ফিরহাদ হাকিম আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, “ছ’ মাস বাদে ব্যবস্থা নিলে আর কী হবে! বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। অবৈধ নির্মাণ হয়ে যাবে দাদাগিরি করে। ছ’ মাস পর ব্যবস্থা নিলে ততদিনে লোকও ঢুকে যাবে। তারপর আমরা ভাঙতে পারব না। তৈরি করার সময় না ভাঙলে লোক ঢুকে যাবে। বরোতে টাকা দিয়ে দেবে আর কাজটা করে নেবে। এখানে মেয়র নাচবে, ডিজি নাচবে। সবাই নাচতে থাকবে আর ওখানে বরো তার নিজের কাজ করবে। লোয়ার লেভেলে কেন আমি বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টকে বলি? এখান থেকেই তো পয়সা খায় ওরা। অভিযোগ এসেছে মানেই দর দ্বিগুণ হয়ে যাবে। পয়সা বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট আর থানা খায়। বদনাম হয় কাউন্সিলরের। কাউন্সিলরের পক্ষে তো জানা সম্ভব না কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ।”
মেয়রের কথায়, “বিল্ডিং প্ল্যান তো কাউন্সিলরের কাছে আসে না। জনপ্রিতিনিধিরা এসব বিষয়ে জানে না। এটা বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট করে। আইন ভেঙে কিছু হলে ধরে নেব বিভাগের গাফিলতি বা থানার গাফিলতি থাকতে পারে।” ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়েছে বাম-বিজেপি। সিপিএম নেতা বিমান বসু বলেন, “এ কথার উত্তর আমি দেব না। তখতে বসে আছে তো। তখতে বসে থেকে অনেক কথা বলা যায়। ওখানে না থাকলে একটা কথাও উচ্চারণ করা যেত না।”
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা প্রমোটার রয়েছেন এবং যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন উভয়ই জানেন পয়সা কোথায় যায়। ভবন তৈরির সময় প্রতি বর্গ ফুটে দাম বাধা আছে প্রতি ওয়ার্ডে। তা ২০০-৩০০ বা তার বেশিও হতে পারে। সেটা না দিলে ভবন তৈরিই করা যাবে না। ফিরহাদ হাকিম এসব বলে আইওয়াশ করছেন। নিজের পিঠ এভাবে বাঁচানো যাবে না। সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। এলাকা ধরে সব জায়গায় দর নির্দিষ্ট। কাউন্সিলর, বিধায়ক সকলেই ভাগ পান।”
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: বাম ছাত্র যুবদের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র পাঁচলা! আটক মীনাক্ষি, রক্তাক্ত পুলিশ কর্মীও