Kunal Ghosh: পঞ্চায়েতে প্রমাণ হয়ে যাবে নন্দীগ্রাম ঘরের মেয়েকেই চেয়েছিল, বিশ্বাসঘাতককে নয়: কুণাল
TMC vs BJP: কুণাল ঘোষের দাবি, "পঞ্চায়েত ভোটে প্রমাণ হয়ে যাবে, নন্দীগ্রাম তার ঘরের মেয়েকে চেয়েছিল। নন্দীগ্রাম বিশ্বাসঘাতককে চায়নি।"
কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা ও ব্লকস্তরের মধ্যে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব পেয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আর এরই মধ্যে সোমবার নন্দকুমারের একটি সমবায় নির্বাচনে বিরোধীরা সহজ জয় পেয়েছে। ৬৩ টি আসনের মধ্যে সবক’টিতেই জয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি। মূলত বাম ও বিজেপি নিচু তলার কর্মী-সমর্থকদের যৌথ মঞ্চ এটি। আর এখানেই ‘রাম-বাম জোটের’ তত্ত্ব উস্কে দিচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। তবে এটি নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নয় তৃণমূল। মঙ্গলবার সেই কথা সাফ বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, “কোনও ভয়ের কারণ নেই। আমরা প্রতিটি বুথে ন্যূনতম ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতব। সুতরাং, ৪৯ শতাংশের মধ্যে কে কত ভাগ পাচ্ছে, তা আমাদের মাথাব্যথা হতে পারে না।”
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সবার নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামের ভোট ময়দানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণাল ঘোষের দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে প্রমাণ হয়ে যাবে, নন্দীগ্রাম তার ঘরের মেয়েকে চেয়েছিল। নন্দীগ্রাম বিশ্বাসঘাতককে চায়নি।”
কুণাল ঘোষের আরও সংযোজন, “মানুষ উন্নয়ন পাচ্ছে, পরিষেবা পাচ্ছে। আমরা ন্যূনতম ৫১ শতাংশ পাবই। সেটি কোনও বুথে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আমাদের প্রশ্ন, ১০০ শতাংশ পাব না কেন? কারণ, ১০০ শতাংশ পরিবারের কাছে উন্নয়ন ও পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে।” সেই সঙ্গে কুণাল ঘোষ আরও স্পষ্ট করে দেন, ‘বাম-বিজেপি জোটে’র কোনও প্রভাব পড়বে না পঞ্চায়েত ভোটে। তাঁর কথায়, “কোথাও কোথাও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ওই জায়গায় বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল পরিবেশ সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস ও বিশ্বাসঘাতকদের মিলে। বিষ মুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।”
প্রসঙ্গত, নন্দকুমারের ওই সমবায় ভোট ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। বঙ্গ বিজেপির তরফে নন্দকুমারের সমবায় ভোটে জয়ের জন্য দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। অন্যদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আবার এই যৌথ মঞ্চের বিষয়ে বলেছেন, “সমবায়ের নির্বাচন কোনও দলভিত্তিক হয় না। সেই গ্রামে মূল লড়াই হল, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের হাত থেকে সমবায়কে বাঁচাতে হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে ভোট লড়েছে।”