Bikash Bhattacharya: ‘আপনি চাকরি খাচ্ছেন’ বলেছিলেন মমতা, সেই বিকাশের লড়া মামলাতেই ফিরছে ‘১০০ দিন’
Bikash Bhattacharya: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকাশকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'উনি বিশ্বের বৃহত্তম আইনজীবী, ওঁর নোবেল পাওয়া উচিত।' সেই বিকাশ ভট্টাচার্যের লড়া মামলাতেই ফিরছে ১০০ দিনের কাজ। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

কলকাতা: ‘কেন চাকরি খেলেন?’ বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে এ কথা। বিভিন্ন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জনের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে যখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়, তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকাশকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘উনি বিশ্বের বৃহত্তম আইনজীবী, ওঁর নোবেল পাওয়া উচিত।’ সেই বিকাশ ভট্টাচার্যের লড়া মামলাতেই ফিরছে ১০০ দিনের কাজ। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ ছিল মনরেগা প্রকল্প বা ১০০ দিনের কাজ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যে ফের ‘একশো দিনের’ প্রকল্প চালু করতে হবে। আগামী ১ অগস্ট থেকেই বাংলায় ফের এই প্রকল্প চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। এই প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য কেন্দ্র নজরদারি চালাবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
এই মামলায় মামলাকারী ছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতি’ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই ‘পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতি’র আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়েন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সপ্তর্ষি আইনজীবী বন্দ্যোপাধ্যায়।
রায় বেরনোর পর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘এই মামলা কেউ টাকা পাবে বলে করেনি। তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছিল। আমরা ক্ষেত মজদুরদের পক্ষ থেকে বলেছি, টাকাটা ফেরত আসুক।’ বারবার চাকরি খাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিকাশের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, “এ কথা তাঁরাই বলেন, যাঁরা দুর্নীতিকে ভালবাসেন। খোঁজ নিয়ে দেখবেন, আমি চাকরি খাইনি। অন্তত ২৫ হাজার জনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছি।”
