Central Force: কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়, কী করছে, রোজ সকালে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে
Loksabha Election 2024: পঞ্চায়েত ভোটের সময় ফোর্স কোঅর্ডিনেটর ছিল বিএসএফ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফের রাজ্য সেক্টরের আইজি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ১০টার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দিষ্ট ইমেল আইডিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থানগত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিআরপিএফ নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে রোজ সকালে রিপোর্ট দেবেন আইজি সিআরপিএফ পশ্চিমবঙ্গ সেক্টর। পরিস্থিতি অনুযায়ী বাহিনীকে যাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ২৯ মার্চ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্য়ে ইমেল মারফত সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। সফ্ট কপির পাশাপাশি রিপোর্ট দিতে হবে হার্ড কপিতেও।
বাংলায় যে কোনও নির্বাচনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এবার লোকসভা ভোটে এই ছবি বদলাতে চায় কমিশন। ১৬ মার্চ ভোট ঘোষণার দিনই এ নিয়ে বার্তা দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছিলেন, “যে পরিমাণ ফোর্স রাজ্যগুলিতে যাচ্ছে তার মোতায়েন যেন ঠিকমতো হয়। কোথাও ফোর্সকে বসিয়ে রাখা, কাজ না করানোর ঘটনা যেন না ঘটে। আবার কোথাও যেন ফোর্সকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ না আসে।”
এবার সেই বাহিনী নিয়ে আরও এক ধাপ এগোল সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন থেকে শুরু করে, বাহিনী কোথায় কাজ করছে তার উপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হল।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় ফোর্স কোঅর্ডিনেটর ছিল বিএসএফ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফের রাজ্য সেক্টরের আইজি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ১০টার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দিষ্ট ইমেল আইডিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থানগত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বাহিনীর কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্বে যেহেতু সিআরপিএফ, তারাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই রিপোর্ট জমা দেবে।
ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই ঢুকেছে বাহিনী, জেলায় জেলায় টহলও শুরু করে দিয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসার কথা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি ভোটারদের আশ্বস্ত করতেই এত বাহিনী বলে কমিশন সূত্রে খবর।