Mamata and Raju: ‘স্টেট ডিজাস্টার ঘোষণা করুন’, পাল্টা রাজুকে মমতা বললেন,’মহাকুম্ভ কি বিপর্যয় ছিল না?ঘোষণা করেছে?’
শুক্র ও শনিবারের রাতভর বৃষ্টিতে ভূমিধস নেমেছিল উত্তরবঙ্গে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৩ জনের। ভেঙে গিয়েছে সেতু। রাস্তাঘাট ভেঙেছে। নিশ্চিহ্ন একাধিক গ্রাম। ভয়ঙ্কর দুর্দশা গ্রামগুলির। গ্রামগুলিতে পৌঁছেছেন ত্রাণ পৌঁছে গিয়েছে। এই আবহের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন রাজু।

কলকাতা: উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়। একের পর এক মানুষের মৃত্যু। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট সব ধ্বংসের মুখে। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়কে ‘স্টেট ডিজ়াস্টার’ ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “মহাকুম্ভ বিপর্যয় ছিল না? ঘোষণা করেছে?”
শুক্র ও শনিবারের রাতভর বৃষ্টিতে ভূমিধস নেমেছিল উত্তরবঙ্গে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৩ জনের। ভেঙে গিয়েছে সেতু। রাস্তাঘাট ভেঙেছে। নিশ্চিহ্ন একাধিক গ্রাম। ভয়ঙ্কর দুর্দশা গ্রামগুলির। গ্রামগুলিতে পৌঁছেছেন ত্রাণ পৌঁছে গিয়েছে। এই আবহের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন রাজু। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন,”আপনি জানেন গত দু’দিন ধরে চলা লাগাতর বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্স সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই এই পাহাড়বাসীদের প্রতিনিধি হিসাবে আপনার কাছে একটাই আর্জি রাখতে চাই।” তিনি এও বলেন, “কেন্দ্র সরকার যা করার করছে। রাজ্য সরকার যদি মনে করে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াবে, তা হলে দাঁড়াতে পারে।“
এরপর গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরকন্যা থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি একহাত নেন কেন্দ্রকে। প্রসঙ্গ তোলেন রাজুর বিষয়ে। তিনি বলেন, “মারা গেল ধসে। বলে দিল ব্রিজ ভেঙে মরে গেছে। ব্রিজ তো অনেকে ভেঙেছে, অন্য রাজ্যে।” তাঁর সংযোজন, “আমায় বলছে স্টেট ডিজাস্টার ঘোষণা করতে। কেন? মহাকুম্ভ কি বিপর্যয় ছিল না? ঘোষণা করেছে?” মুখ্য়মন্ত্রী গতকাল এও বলেছেন, “আগে বন্যা ত্রাণে গেলেই মালদহ-বালুঘাটে বসে থাকত। বলত ‘দিদি খেতে পাইনি, দিদি খেতে পাইনি..কিছু দেয়নি।’ আগের বালুরঘাট পরিবর্তন হয়েছে।”
