Mamata on Vande Bharat: বন্দে ভারতে এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়াছুড়ির বিষয়ে ঢুকতে চান না মমতা
Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "তিন দিন ধরে বলা হচ্ছিল, বাংলায় পাথর ছোড়া হয়েছে। কিন্তু বাংলায় ছোড়া হয়নি। ওটি বিহারে হয়েছে। সেখানকার লোকেদের যদি কোনও সমস্যা হয়, সেটি তাঁদের ব্যাপার।"
কলকাতা: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুন্যার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার কথা বলছিলেন। সুষ্ঠুভাবে যাতে মেলা শেষ হয়, সেই কথা বলছিলেন তিনি। আর সেই সময়ই বন্দে ভারত প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। বললেন, “তিন দিন ধরে বলা হচ্ছিল, বাংলায় পাথর ছোড়া হয়েছে। কিন্তু বাংলায় ছোড়া হয়নি। ওটি বিহারে হয়েছে। সেখানকার লোকেদের যদি কোনও সমস্যা হয়, সেটি তাঁদের ব্যাপার। আমি সেই বিষয়ের মধ্যে ঢুকছি না। কিন্তু মিথ্যা কথায় বাংলাকে বদনাম কেন করা হচ্ছে?”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রাপ্তি ঘটেছে। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ছুটছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু চালু হাওয়ার পর থেকে বন্দে ভারতে পাথর ছোড়াছুড়ির বিতর্কে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। যদিও রেলের তরফে ইতিপূর্বেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩ তারিখের ঘটনাটি বাংলায় নয়, বিহারে ঘটেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিহারের কিষাণগঞ্জ এলাকায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাওয়ার সময় হামলা হয়েছে।
পাথর ছোড়ার ওই বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীও জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সেটি বাংলায় নয়, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যে এলাকাটিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেটি বিহারের কিষানগঞ্জ সংলগ্ন মাগুরজান এলাকা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
যদিও বিজেপি শিবির বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার আক্রমণ শানিয়েছে। রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে আগেই একদফা নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন। বিহার যোগের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিহারের মানুষেরও ক্ষোভ থাকতে পারে। বিহার কেন বন্দে ভারত পাবে না, সেই প্রশ্নও সেদিন উস্কে দিয়েছিলেন মমতা।