Mamata on Lakhimpur: ‘অমানবিক! স্বৈরতন্ত্র চলছে’, লখিমপুরে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আটকানোয় বেজায় চটে মমতা
Lakhimpur Violence: প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয়েছে। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই ওখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে একই ঘটনা। মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কলকাতা : ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে লখিমপুরের (Lakhimpur Violence) বাতাবরণ। উত্তেজনার আঁচ দিল্লি পর্যন্ত চলে গিয়েছে। বাদ নেই কলকাতায়। গোটা দেশের রাজনীতিকে টলিয়ে দিয়েছে লখিমপুরের ঘটনা। মুখ খুলেছে সুপ্রিম কোর্টও। আর এরই মধ্যে আজ লখিমপুরের হিংসার ঘটনা নিয়ে ফের একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে যেতে না দেওয়ায় বেজায় চটে রয়েছেন তিনি। বললেন, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই ওখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে।
আজ ভবানীপুর গুরুদ্বারের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রীর ছেলে লোকের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিচ্ছে, বা গুলি করে দিচ্ছে। আর তারপর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে দিচ্ছে। আমার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। চারিদিকে এভাবেই চলছে জুলুমবাজি। ত্রিপুরায় যান, সেখানে ১৪৪ ধারা। অসমে যান, সেখানেও ১৪৪ ধারা। উত্তর প্রদেশে গুলি করে মারুক বা দুর্ঘটনাতেই মারা যাক, সেখানেও ১৪৪ ধারা। মানবিকতা বলে কোনও জিনিস নেই। মানবিকতার আর কিছু বাকি নেই। অমানবিক। আমাদের প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়েছিলেন, আটকে দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁদের দেখা করতে দেওয়া না হয়, তাহলে পরে অবশ্যই আমরা দেখা করব।”
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, “কৃষকদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্য়জনক। তারা (বিজেপি সরকার) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয়েছে। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই ওখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে একই ঘটনা। ১৪৪ ধারা ছাড়া আর কিছুই নেই। তারা গণতন্ত্রের বদলে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার চালাচ্ছে।”
লখিমপুর খেরির হিংসা ও কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। রবিবারের হিংসার ঘটনা নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকায় এক প্রাক্তন বিচারপতির হাতে গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। একইসঙ্গে মৃতদের পরিবার পিছু ৪৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিল যোগী সরকার।
রবিবার কৃষক মৃত্যুর ঘটনার পরই উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারায় জারি করা হয়েছে লখিমপুর খেরি এলাকায়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। উত্তর প্রদেশ সরকারের আবেদনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও দুই কম্পানি প্যারামিলিটারি বাহিনী ও দুই কম্পানি এসএসবিজওয়ানদেরও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর অবধি সেনা মোতায়েন থাকবে ওই এলাকায়।