Gobindobhog rice: গোবিন্দভোগ চালের রফতানিতে পুরোপুরি শুল্ক মকুবের আর্জি জানিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার

Gobindobhog rice: চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই চালের জনপ্রিয়তা বিশ্ব জুড়ে। পুজোর সময় সুগন্ধী এই চাল প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

Gobindobhog rice: গোবিন্দভোগ চালের রফতানিতে পুরোপুরি শুল্ক মকুবের আর্জি জানিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার
নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2022 | 6:27 AM

কলকাতা: গোবিন্দভোগ চালের (Gobindobhog rice) রফতানিতে শুল্ক মকুবের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিঠিতে তাঁর আর্জি, গোবিন্দভোগ চালের রফতানিতে যে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তা পুরোপুরি মকুব করা হোক। শুল্ক চাপানোর ফলে বিদেশে এই চাল রফতানিতে মার খাচ্ছে রাজ্য, যার ফলে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ছেন বাংলার কৃষকরা। তাই কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে শুল্ক মকুবের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই চালের জনপ্রিয়তা বিশ্ব জুড়ে। পুজোর সময় সুগন্ধী এই চাল প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম চাল এটি। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় এবং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইনের মতো উপকূলীয় দেশগুলিতে গোবিন্দভোগ চালের বিপুল চাহিদা। সেই কারণে রাজ্যের তরফে কৃষকদের চাষের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রী নিজের চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে গোবিন্দভোগ চাল। আর চালের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে অবগত প্রতিটি মানুষ।কিন্তু সংশ্লিষ্ট শুল্ক যদি মকুব না করা হয় তাহলে বিপদে পড়বেন সাধারণ কৃষকরা। অন্যান্য চালের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-এর থেকে এটি বেশি দামি।

মমতা নিজের চিঠিতে প্রতিটি ছত্রে-ছত্রে কৃষকদের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, এই শুল্কের জন্য কৃষকরা বর্তমানে পথে বসে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে গোবিন্দভোগ চালের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেনে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। বিষয়টি আমাদের মত রাজ্যের সরকার কেউ ভাবাচ্ছে। কৃষকরা সব থেকে বেশি ঝামেলায় পড়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, বাঁশমতি চালের ক্ষেত্রে শুল্ক মকুব করা হয়েছে। তাহলে গোবিন্দ ভোগ চালের ক্ষেত্রে তা করা হবে না কেন? তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি আরজি জানিয়েছেন, এই শুল্ক মুকুব করা হোক।